গত এপ্রিলের শেষ কদিন গরমের তীব্রতায় চরম ভোগান্তিতে পরতে হয়েছে বরিশালের মানুষকে। একটানা দাবদাহে ছাড়িয়ে গেছে অতীতের রেকর্ড। তবে গত দুদিন যাবৎ তপ্ততা কিছুটা কমলেও অধরাই থেকেছে কাক্সিক্ষত প্রশান্তির বর্ষণ। গতকাল মঙ্গলবার দিনভর আকাশে মেঘের উপস্থিতি থাকলেও লুকোচুরি করেছে বৃষ্টি। অনেকটা অস্বাভাবিক কারণে বৃষ্টি না হলেও শীঘ্রই বারিধারায় ভিজবে এ অঞ্চল এমন সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার ভোররাত ৪ টা থেকে সাড়ে ৫ টা এবং দুপুর ১টা থেকে ২ টা পর্যন্ত সামান্য বৃষ্টির পরিমাপ করতে পেরেছে তারা। তবে তা দশমিক এক মিলিমিটারেরও কম। তবে ভোর থেকেই আকাশে মেঘমালার উপস্থিতি ছিল। এছাড়া ঠান্ডা বাতাস বয়ে গেছে পুরো অঞ্চল জুড়ে। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে গত ২৪ এপ্রিল থেকে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠে যায় বরিশালে। পরদিন রোববার বরিশালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা বিগত ৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।পরদিন গত সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার আকাশে কিছুটা মেঘের উপস্থিতি থাকায় গরম কিছুটা কমে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর থেকে আস্তে আস্তে গরমের তীব্রতা কমতে থাকে এ অঞ্চলে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের জেষ্ঠ পর্যবেক্ষক প্রণব কুমার জানান,এপ্রিল মাসের শেষ দশদিন দাবদাহ এবং গরমের যে তীব্রতা ছিল এখন তা নেই। বরিশালের পার্শ্ববর্তী সুন্দরবন অঞ্চলে বেশ বৃষ্টিপাত হয়েছে। কিন্তু আকাশে মেঘমালার উপস্থিতি সত্বেও অস্বাভাবিকভাবে বরিশালে বৃষ্টি হচ্ছে না। আগামী দু একদিনে বৃষ্টি হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন এই আবহাওয়াবিদ।