এ কারণে সকাল থেকে উপজেলা শহরে দূরপাল্লার যানবাহন চলাচল রয়েছে সীমিত। স্থানীয়ভাবে রিকশা, ভ্যান ও অটোরিকশা চলাচলও রয়েছে সামান্য।

পৌর শহরের রিকশাচালক মো: পান্না হাওলাদার জানান, তার বাড়ি শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের পৌরসভার লক্ষীপুরা মহল্লায়। রিকশা চালিয়ে পাঁচ সদস্যের পরিবার চালাতে হয়। তাই প্রতিদিন খুব ভোরেই রিকশা নিয়ে পৌর শহর ও বাসস্ট্যান্ডে আসেন। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে সাড়ে ৩০০-৪০০ টাকা আয় হয়। কিন্তু আজ ঘন কুয়াশার কারণে সাড়ে ৮টায় (সকাল) শহরে এসেছেন। কুয়াশার কারণে যাত্রীরা ঘর থেকে বের হননি। তাই রিকশা নিয়ে বসে আছেন পৌরসভার শহীদ মিনার সড়কে।
উপজেলার ভিটাবাড়িয়া গ্রামের ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলচালক মো: নজরুল বলেন, সকাল সাড়ে ৬টায় মোটরসাইকেল নিয়ে ঘর থেকে বের হলেও ঘন কুয়াশার কারণে সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনো যাত্রী আসেনি। কোনো টাকাও আয় হয়নি। তা ছাড়া কুয়াশার কারণে মোটরসাইকেল চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হবে তাই বসে আছি।

উপজেলার সদর থেকে ছেড়ে যাওয়া ঢাকাগামী দূরপাল্লা পরিবহনের আল আমিনসহ একাধিক চালক ও হেল্পার জানান, ঘন কুয়াশার মধ্যে গাড়ি চালানো ঝুঁকি, তাই ঝুঁকি এড়াতে গাড়ির হেড লাইট জ্বালিয়ে চালাতে হচ্ছে।

পৌর শহরের দিনমজুর মোতালেফ গাজী বলেন, ঘন কুয়াশা আর প্রচণ্ড ঠান্ডায় গত দু’দিন ধরে কাজে যায়নি। স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, রোববার (২ ডিসেম্বর) রাত ১১টা থেকেই ঘন কুয়াশা দেখা গেছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সূর্যের দেখা মেলেছে।