Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114

Warning: copy(/home/dailyajkerbarta/public_html/wp-content/plugins/wp-memory/includes/mu-plugins/bill-catch-errors.php): failed to open stream: No such file or directory in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-content/plugins/restore-classic-widgets/includes/catch-errors/class_bill_catch_errors.php on line 135
বন্ধ হওয়ার পথে বাবুগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ কিন্ডারগার্টেন - আজকের বার্তা
আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

বন্ধ হওয়ার পথে বাবুগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ কিন্ডারগার্টেন


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: মে ০৩, ২০২১ ৫:৪৬ অপরাহ্ণ বন্ধ হওয়ার পথে বাবুগঞ্জ উপজেলার বেশিরভাগ কিন্ডারগার্টেন
Spread the love
বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো। তার সাথে বন্ধ রয়েছে শিক্ষকদের আয়ের পথ। সরকারি, বেসরকারি ও এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বৈশাখী বোনাস, ঈদ বোনাসসহ সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন কিন্তু কিন্ডারগার্ডেনের শিক্ষকরা কোনো সুযোগ সুবিধা না পাওয়ার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন বলে জানা যায়। বন্ধ হওয়ার পথে রয়েছে বেশিরভাগ কিন্ডারগার্ডেন। কিন্ডারগার্টেন সংশি¬ষ্টরা বলছেন, সরকারি অনুদান বা সাহায্য ছাড়াই শুধু অভিভাবকদের দেয়া বেতনে কিন্ডারগার্টেন স্কুলগুলো পরিচালিত হয়। এক বছরের অধিক সময় ধরে বন্ধ থাকায় টিউশন ফি (শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন) পাচ্ছে না এই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। বকেয়া হয়ে গেছে অনেক প্রতিষ্ঠানের বাড়ি ভাড়া। মানবেতর জীবন যাপন করছেন শিক্ষকসহ এর সাথে সম্পৃক্ত সকল কর্মচারী ও তাদের পরিবার। মানসিক ও অর্থনৈতিক চাপে পথে বসার আতঙ্কে রয়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তা পরিচালকবৃন্দদের। শিক্ষকরা বলছেন, কিন্ডারগার্টেন স্কুল গুলোতে মাসিক বেতন সামান্য হলেও টিউশন ও কোচিং পড়িয়ে কোন রকম চলেন তারা। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় টিউশন ও কোচিং বন্ধ রয়েছে। ফলে বিদ্যালয়ের বেতন বন্ধ থাকার সঙ্গে বাড়তি রোজগারের পথও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষক কর্মচারী বিকল্প আয়ের পথ খুঁজছেন। বাবুগঞ্জ উপজেলার কিন্ডারগার্ডেন স্কুল সংগঠনের নেতারা বলছেন, গত বছরের মার্চ মাস থেকে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সব ধরণের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। প্রতিষ্ঠান চালাতে অনেক খরচ রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠানের ভবনের ভাড়া দিতে পারেনি।  এসব প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা বলছেন, বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় কোনো অভিভাবক বেতন পরিশোধ করেননি। বেতনের জন্য চাপও দেয়া যাচ্ছে না। এজন্য আমরা শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছি না। বরিশাল কিন্ডারগার্টেন ফোরামের নির্বাহী সদস্য ও ইসলামী প্রি- ক্যাডেট স্কুল ( কিন্ডারগার্টেন) এর চেয়ারম্যান শেখ নজরুল ইসলাম মাহাবুব জানান, বাবুগঞ্জ উপজেলায় ২৫ টির অধিক কিন্ডারগার্টেন রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মেনে আমাদের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সরকারি ও এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা প্রণোদনা ও সহযোগিতা পেলেও আমাদের কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সংশি¬ষ্টরা কিছু পান নি। কিন্ডারগার্টেন ফোরামের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেও কোন ধরনের সুযোগ সুবিধা পাননি। এছাড়াও তিনি বলেন, অভিভাবকরা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে বেতন দিচ্ছেন না। কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠান গুলো পূর্বের অবস্থানে ফিরে যেতে সরকারী সহায়তা কামনা করেন। উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূতের দিয়া এলাকায় অবস্থিত ফুলকুরি আদর্শ কিন্ডারগার্টেন এর পরিচালক মোঃ আরিফ হোসেন লিমন জানান, করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকায় অভিভাবকরা বেতন দিচ্ছেন না। শিক্ষকদের বেতন কিভাবে দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অভিভাবকরা বেতন না দেওয়ায় শিক্ষকদের বেতন দিতে পারছিনা। এমনকি অনেক শিক্ষক অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিন্ডারগার্টেন শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকা পালন করে আসছে। তাছাড়া শিক্ষার মানের দিক থেকেও তারা অনেক এগিয়ে। তাই প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন বাবুগঞ্জ উপজেলার বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কিন্ডারগার্টেন এর পরিচালক ও প্রতিষ্ঠান প্রধানরা।  উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. আকবর কবির জানান, কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রণোদনা বা সাহায্য সহযোগিতার জন্য সরকারি কোন নির্দেশনা আসেনি। তবে তিনি বিষয়টি উপরস্থ কর্মকর্তাদের অবহিত করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।