ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ঝালকাঠিতে সকাল থেকেই প্রবল বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়া বইছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জানিয়েছেন, সুগন্ধা ও বিশখালী নদীর পানি বিপদ সীমার নিচে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় বৃহস্পতিবার রাতে প্রস্তুতি সভা করেছে জেলা প্রশাসন। জেলার আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
৭টি কন্টোল রুম খোলা হয়েছে। ৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৩৭টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৩টি উদ্ধারকারী টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ৩ লাখ ২৩ হাজার টাকা ও ৩৫০ টন চাল মওজুদ রয়েছে। জেলার নিন্ম অঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। শীতকালীন শস্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পানি ঢুকে অনেক মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকরা। বেশ কয়েক জায়গায় গাছ উপড়ে পরে রাস্তা ও ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে সকাল থেকে ঝালকাঠি পৌর শহর ও গ্রামে বিদ্যুত বন্ধ রয়েছে। ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী আ. রহিম জানান, ঝড়ো হাওয়ায় লাইন ফল্ট করায় বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। কোথায় ফল্ট করেছে তা খোঁজা হচ্ছে।