আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে পটুয়াখালীতে আমন ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: নভেম্বর ১৭, ২০২৩ ১১:৫৯ অপরাহ্ণ ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে পটুয়াখালীতে আমন ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা
Spread the love

বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় মিধিলিতে রূপ নিয়ে সমুদ্র উপকূলে আঘাত হেনেছে। এর প্রভাব পটুয়াখালী জেলায় আমন ধানের ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার চলা টানা বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ায় রোপা আমন ক্ষেত প্লাবিত হয়েছে।

পটুয়াখালী কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, জেলার ৮ উপজেলার প্রায় অনেক জমির রোপণকৃত আমন ও ইরি ফসল বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে। জমিতে হেলে পড়েছে বাড়তে থাকা ফসল। বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় শীতের আগাম সবজিও ক্ষতির মুখে পড়তে শুরু করেছে।

ডিবুয়াপুর গ্রামের কৃষক শহীদ মুন্সী বলেন, মাঠে এখন আমন ধান রয়েছে। এই সময়ে বাড়তি বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া যদি থাকে তাহলে ধান পানিতে হেলে পড়বে। আর এতে করে ধানের ব্যাপক ক্ষতি হবে। কারণ অতিবৃষ্টিতে ফসলি মাঠে পানি জমে গেছে।

আউলিয়াপুর ইউনিয়নের সিকান্দার মিয়া বলেন, এখন আমন ধানের মৌসুম ধানে ফুল এসেছে। এই সময়ে অতিবৃষ্টি ও বাতাসের কারণে ধানে চিটা ধরে যাবে। তাহলে আমাদের ধান যখন ঘরে তোলা হবে তখন ধানের বদলে চিটা বেশি পাওয়া যাবে। বেশি বাতাসে ধান পানিতে ডুবে থাকবে, এতে করে কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, পটুয়াখালীতে এখন মাঠে ১ লাখ ৯১ হাজার ১১৯ হেক্টর জমিতে আমন ধান আছে। এর মধ্যে ৫ ভাগ ধান পেকেছে, যেটা কৃষক কর্তন করতেছে।

২০ ভাগ ধান আধা পাকা অবস্থায় আছে। এ ছাড়া ৭৫ ভাগ ধান ফুল অবস্থায় আছে, যদি ঝড় হাওয়া হয় তাহলে এই ফুল চিটা হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। সামনে দিনে কৃষকরা উৎপাদনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা আশা করি না এই ঝড়ো হওয়া হোক এবং কৃষকের ধানে চিটা হোক। ফুল অবস্থায় ধান এখন কাটাও যাবে না। তবে যাদের ধান পেকেছে তারা যতটুকু পারেন, ধান কেটে ঘরে তুলে ফেলুন।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে জানান, ঘূর্ণিঝড় মিধিলি শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের প্রায় ১১টি জেলায় এটি আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্লেখ্য, পটুয়াখালী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি জরুরি মিটিং সম্পন্ন করেছে। জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার, ৩৫টি মুজিব কেল্লা, ৮৭৬০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক, ৭ লাখ ৯০ হাজার নগদ টাকা, ৬৫০ টন চাল মজুদ রয়েছে। জেলায় স্যালাইন ও খাবার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পর্যাপ্ত প্রস্তুত রয়েছে। ৮২টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জরুরি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।