বার্তা ডেস্ক ॥ ঝালকাঠি শহরে অবোরোধ বিরোধী মহরা চলাকালীন যুবলীগের দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। সকাল নয়টার দিকে শহরের পোষ্ট অফিস সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিলনসহ চারজন গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে মিলনসহ তিনজনকে বরিশাল শেবাচিমে এবং অপর এক য্বুলীগ কর্মীকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতরা হলো জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিলন, ঝালকাঠি সরকারী কলেজ লীগের সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম অপু, যুবলীগ কর্মী হারুন হাওলাদার ও মো. সাগর। এ ঘটনায় শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কোন ধরনের অপ্রিতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ শহরে টহল দিচ্ছে।
জেলা যুব লীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির বলেন, মিলনের সমর্থকরা তাদের মহড়ার পিছন দিক থেকে হামলা করে দুইজন সেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীর উপর মোটর সাইকেল উঠিয়ে দেয়। এতে তারা আহত হলে নেতাকর্মীরা তাদের প্রতিরোধ করে।
অন্যদিকে সৈয়দ মিলনের সমর্থকরা জানান, তারা অবরোধ বিরোধী মটর সাইকেল মহড়া দেয়ার সময় তাদের বহরে পোস্ট অফিস সড়কে পৌছলে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হাফিজ আল মাহমুদ, য্বুলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির ও যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল শরীফের অনুসারিরা হামলা চালিয়ে কুপিয়ে আহত করে। তাদের মহড়ার থাকা বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে।
এ ব্যাপারে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন সরকার জানান ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিলনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিমে প্রেরন করা হয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। তবে এটা দলীয় অভ্যন্তরীন কোন্দল হতে পারে। কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
এদিকে বুধবার রাত সাড়ে বারোটায় শহরের ব্রাক মোড়ে একটি লেগুনায় আগুন দেয় দুবৃর্ত্তরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিতে পারলেও লেগুনাটি পুড়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানিয়েছেন ওসি নাসির উদ্দিন সরকার।