আজকের বার্তা | প্রকাশিত: নভেম্বর ১৩, ২০২৩ ৮:৩২ অপরাহ্ণ
Spread the love
বার্তা ডেস্ক ॥ মশা আর দুর্গন্ধে নাকাল বরিশাল নগরীর বাসিন্দারা। শহরের ভেতর এক সময় ৪৬টি খাল থাকলেও এখন নামেমাত্র বেঁচে আছে দু থেকে তিনটি। তাও আবর্জনার স্তূপ হিসেবে। বর্ষা মৌসুমে লোক দেখানো পরিচ্ছন্নতা কাজ না করে, শুষ্ক মৌসুমে খাল উদ্ধারে অভিযানের পরামর্শ পরিবেশবাদীদের। নতুন মেয়র জানান, শিগগিরই খাল উদ্ধার ও জলাবদ্ধতা নিরসনে শুরু হবে কাজ।
বরিশাল নগরীর নতুন বাজার এলাকার জেল খাল। দখল আর দূষণে বর্তমানে এটি পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। আর যেটুকু পানি আছে তা আটকে থাকায় মশার জন্ম ও বাসস্থানে পরিণত হয়েছে খালটি।
শুধু জেল খালই নয়। নগরীর বুকচিরে বয়ে চলা সবগুলো খালেরই একই অবস্থা। নগরবাসী বলছে, ময়লা-আবর্জনায় নর্দমায় রূপ নিয়েছে খালগুলো। ফলে বেড়েছে জলাবদ্ধতা ও মশার উৎপাত।২০২২ সালে নগরীর ৭টি খালের প্রায় ১৯ কিলোমিটার পুনর্খনন, অবৈধ দখলমুক্ত ও খালের দুপাশে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য ৭ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্প নিয়ে টেন্ডার আহ্বান করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে চিঠি দিয়ে সে কাজ আটকে দেয় সিটি করপোরেশন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের বিভাগীয় সমন্বয়ক রফিকুল আলম বলেন, ‘বর্ষা মৌসুমে লোক দেখানো পরিচ্ছন্নতা কাজ না করে শুষ্ক মৌসুমে খাল উদ্ধারে অভিযান চালানো হোক।’
তবে সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস জানান, ২০১৯ সালে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দেয়া হয়েছে। এটি অনুমোদন পেলে ৪৬টি খালের অবৈধ দখলমুক্ত, পুনর্খনন ও দুপাশে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ শুরু করা হবে।
সম্প্রতি একনেক সভায় বরিশাল নগরীর উন্নয়নের জন্য ৭৯৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচনে দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সবার আগে খাল উদ্ধার ও জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করার কথা জানান নবনির্বাচিত মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের তথ্য মতে, ৩০ বছর আগে নগরীতে ৪৬টি খাল থাকলেও দুই থেকে তিনটি নামমাত্র টিকে আছে। বাকি খালগুলো দখল করেছে ১ হাজারের বেশি দখলদার।