rocket
domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init
action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114বার্তা ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জ্বালাও-পোড়াও এটাই বিএনপির উৎসব, এটাই তাদের চরিত্র। তাদের আন্দোলন হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাস, মানুষ খুন করা, ধ্বংস করা, পুলিশের ওপর হামলা করা। কিভাবে এটা বন্ধ করতে হয় সেটা আমাদের জানা আছে।
আগারগাঁও-মতিঝিল মেট্রোরেলের উদ্বোধন ঘোষণা উপলক্ষ্যে শনিবার বিকালে রাজধানীর আরামবাগে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এই ২৮ অক্টোবর কী ঘটনা তারা ঘটাল। কোনো মানুষ যার ভেতরে এতটুকু মনুষ্যত্ব আছে, তারা কি পারে- ওই পুলিশ কী দোষটা করেছে। আমি তো পুলিশকে ধন্যবাদ জানাব যে তারা সেই দিন যথেষ্ট সহনশীলতা দেখিয়েছে। তারা সহনশীলতা দেখিয়েছে। অথচ ওই পুলিশের ওপর তারা (বিএনপি) হামলা করেছে। পুলিশ পেছনে হটে গেছে, তারপরেও এক পুলিশকে ধরে মাটিতে ফেলে যেভাবে তার ওপর লাঠিপেটা করেছে, মাথায় কুপিয়েছে, হেলমেটটা পরা ছিল খুলে ফেলে দিয়ে তারপর মাথায় কুপিয়েছে। পুলিশের হাসপাতাল রাজারবাগ ঢুকে অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়েছে, সেখানে তাদের ওপর হামলা করেছে। আনসারের ওপর আক্রমণ করেছে। আমাদের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এমনকি বিশেষ করে মহিলা নেতাকর্মীদের ওপর অকথ্য নির্যাতন করেছে। কারণ, তারা মিছিল নিয়ে আসছিল আমাদের শান্তি সমাবেশে যেতে, সেখানে বিএনপির গুন্ডারা; গুন্ডাই বলব, সন্ত্রাসীই বলব- আমাদের সেই মেয়েদেরকে রাস্তার ওপর ফেলে তাদের ওপর অত্যাচার করেছে। আমি ধিক্কার জানাই, এটা কি রাজনীতি?
তিনি বলেন, আর পুলিশকে আজকে না- সেই ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ তে ২৯ জন পুলিশ হত্যা করেছিল এই বিএনপি-জামায়াত। রাজশাহীতে মাটিতে ফেলে কিভাবে পুলিশ হত্যা করেছিল সেটা স্মরণ রাখা দরকার এবং একে একে তাদের ওপর যেভাবে গাইবান্ধা থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশকে তারা হত্যা করেছে, নির্যাতন করেছে। তারা কী দোষ করেছে। তারা তো চাকরি করে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেবে। আজকে অগ্নিসন্ত্রাস- এটাই তাদের (বিএনপি-জামায়াত) চরিত্র। তারা কথায় কথায় আগুন দেয়। যাত্রী বাসে আগুন দেয়। ২৮ তারিখেও একটা বাসে হেলপার ঘুমিয়ে আছে, সে জানেও না সেই বাসে আগুন দিয়ে তাকে হত্যা করেছে। আর সেই ১৩-১৪-১৫তে সবার মনে থাকার কথা, বাবা গেছে বাইরে পানি আনতে ছেলে ট্রাকের ভেতরে, ওই অবস্থায় ছেলেকে পুড়িয়ে দিয়েছে। সেই পোড়া শরীর নিয়ে ছেলের চিৎকার। ট্রাকের ভেতর মানুষ পুড়ে কয়লা কাঠ হয়ে আছে। এইভাবে কতশত মানুষকে তারা প্রায় ৩ হাজার ৮০০ মানুষকে পুড়িয়েছে। তারপর ৫০০ মানুষকে হত্যা করেছে, ৫২৫টি স্কুল পুড়িয়েছে, ৩ হাজার গাড়ি পুড়িয়েছে। শুধু গাড়ি না, ২৯টা রেল, সরকারি অফিস, ভূমি অফিস- এরা যেন জ্বালাও-পোড়াও, ধ্বংস করা এটাই যেন তাদের একটা উৎসব। এই হলো বিএনপির চরিত্র।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার প্রশ্ন তারা মানুষকে ভাত দিতে পারে নাই, মানুষকে ঘর দিতে পারে নাই, মানুষকে কাপড় দিতে পারে নাই। তাদের আমলে বিদেশ থেকে পুরনো কাপড় এনে আমাদের দেশের মানুষকে পরাতো। আর সেই মানুষগুলোর ওপর তারা এত অত্যাচার কিভাবে করে, কিভাবে করে? তাদের আন্দোলন হচ্ছে অগ্নিসন্ত্রাস, তাদের আন্দোলন হচ্ছে মানুষ খুন করা, তাদের আন্দোলন হচ্ছে ওই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর ওপর হামলা করা। আর সবকিছু ধ্বংস করা। কেন এভাবে ধ্বংস করবে? তাদের কে অধিকার দিয়েছে? তারা তো অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীর হাতে সৃষ্টি। কাজেই তাদের এই ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করতে হবে। আর এটা যদি বন্ধ না করে তাহলে কিভাবে বন্ধ করতে হয় সেটাও আমাদের জানা আছে। আমরা ছাড়ব না।
তিনি বলেন, ঢাকাবাসীসহ আমি দেশবাসীকে আহ্বান করব যে যারা এইভাবে আগুন দিয়ে পোড়াবে তাদের প্রতিরোধ করতে হবে। দরকার হলে তাদের ধরে ওই আগুনের মধ্যে ফেলতে হবে। যেই হাত দিয়ে আগুন দেবে সেই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিতে হবে। তবেই তাদের শিক্ষা হবে।