বার্তা ডেস্ক ॥ মশার উপদ্রব অতিষ্ঠ করে তুলেছে বরিশাল নগরবাসীকে। বিশেষ করে মাসখানেক ধরে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে বিগত যে কোনো সময়ের থেকেও বেশি।
নগর ভবনের পরিচ্ছন্নতা শাখার কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, প্রতিনিয়ত নগরের ৩০টি ওয়ার্ডে মশক নিধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গ্রুপ ও ওয়ার্ডভিত্তিক দেয়ায় হয়তো বিষয়টি সবার চোখে পড়ছে না। তবে এ কার্যক্রম বন্ধ নেই। এমনকি মশক নিধন ওষুধেরও কোনো সংকট নেই।
যদিও সম্প্রতি নগরে মশা বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস জানান, নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
এদিকে সিটি করপোরেশনের একই শাখার একাধিক কর্মচারী জানিয়েছেন, সম্প্রতি মশক নিধনের প্রয়োজনীয় তরল ওষুধ বা কেমিক্যালের কিছুটা সংকট রয়েছে। তাই হিসাব করে নগরের ড্রেনসহ বিভিন্ন জায়গায় স্বল্প পরিসরে তরল ওষুধ ছেটানো হচ্ছে। আর শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ধরেও ফগার মেশিনের মাধ্যমে ধোঁয়া দেওয়া হচ্ছে। পুরো কার্যক্রমটিও চলছে কিছুটা ধীরগতিতে।
বরিশাল নগরের দক্ষিণ আলেকান্দার বাসিন্দা সুমন খান বলেন, সিটি নির্বাচনের আগেও মশক নিধন কার্যক্রম জোরালোভাবে চালানো হতো। তখন এত ঘন ঘন ওষুধ ও ধোঁয়া দেওয়া হতো যে আমরাও বিরক্ত হয়ে যেতাম। কিন্তু সিটি নির্বাচনের পর ১১ ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তো সে কার্যক্রম দেখছি না। সম্প্রতি সদর রোড দিয়ে যাওয়ার সময় দেখেছি ফগার মেশিন দিয়ে ধোঁয়া দিচ্ছে। যা অন্য কোনো এলাকায় গিয়ে দেখিনি।
অপরদিকে দিনে দিনে মশার উপদ্রব বাড়ছে বলে জানিয়েছেন নগরের কাউনিয়া এলাকার অলিউল ইসলাম। তিনি বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার পর মশক নিধন কার্যক্রমে বেশ জোর দেওয়া হয়েছিলো। এখন তো তা দেখছি না, এত মশা বেড়েছে যে বিকেল থেকেই মশারি টানিয়ে সন্তানদের তার ভেতরে রেখে দিতে হয়। বাইরে বের হয়ে কোনো জায়গায় বেশি দাঁড়ানোও যায় না মশার জ্বালায়।
এদিকে ‘নিজ আঙিনা পরিষ্কার রাখি সবাই মিলে সুস্থ থাকি’ স্লোগানে দেশব্যাপী ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সপ্তাহ শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এ কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে কিছুটা হলেও মশার উপদ্রব কমবে।