বার্তা ডেস্ক ॥ আগামী ২৮ অক্টোবরের (শনিবার) মহাসমাবেশ ঘিরে বিএনপি প্রায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে দলটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের উপকূলীয় জেলা বরগুনার ১০টি ইউনিটের বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের পছন্দের যাত্রা হিসেবে মহাসমাবেশে যোগ দিতেই আগের দিন রাতে লঞ্চ যোগে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।
বরগুনা সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাকিবুল ইসলাম রাকিব জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে পাথরঘাটার কাকচিড়া লঞ্চঘাটে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের লাঠিয়াল বাহিনী এসে লঞ্চযাত্রী বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করেছে। এতে কাকচিড়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ফুয়াদসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে তারা অনত্র রামনা ঘাট থেকে লঞ্চে উঠেছেন। অন্যদিকে পুলিশ বিভিন্ন বাসস্টেশনে তল্লাশি চালিয়েছেন। তারপরেও থামিয়ে রাখা যায়নি তৃণমূলের বিএনপি প্রেমি সহস্রাধিক নেতাকর্মীদের।
বামনা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খন্দকার মহিদুল ইসলাম মোর্শেদ বলেন, বিএনপির চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বাকশালি আ:লীগ সরকার দমিয়ে রাখতে ব্যর্থ, কারণ এ মহাসমাবেশ ও আন্দোলন সাধারণ মানুষের খাবার, ভোট ও মানসিক শান্তির অধিকার আদায়ের জন্যই। আমার ইউনিট থেকে বিএনপি, মহিলা দল, ছাত্রদল, যুবদল ও শ্রমিক দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা নিরাপদে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন।
এ বিষয়ে বরগুনা জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ রানা বলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির এই মহাসমাবেশ ঘিরে তৃণমূল পর্যায়ে ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে। বরগুনা জেলার নেতাকর্মীরা অনেকেই বৃহস্পতি ও শুক্রবার সকালের মধ্যেই সকলে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। ঢাকায় পৌঁছানোর পর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব বা হোটেলে এসব নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, দু’দিন ধরে পর্যাপ্ত যানবাহন না পাওয়া, কিংবা ঢাকার প্রবেশমুখসহ একাধিক স্থানে পুলিশি হয়রানির কারণে অনেক নেতাকর্মীদের আনা সম্ভব হয়নি।