বার্তা ডেস্ক ॥
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় পায়রা বন্দর সংলগ্ন সমুদ্র ও উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এর কোনো প্রভাবই পড়েনি। মঙ্গলবার সাত (০৭)নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে পাঁচ(০৫) নম্বর সংকেত জারির পর কোথাও কোন বৃষ্টি বা বাতাস হয়নি। পুরো উপকূলের কোথাও ঘূর্ণিঝড়ের কোন প্রভাব পড়েনি।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সকাল বেলা মেঘলা ও কিছুটা অন্ধকারাচন্ন আকাশ থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে বদলে যায় সেই চিত্র। আকাশে দেখা মেলে সূর্যের। এরপর স্বাভাবিক হতে শুরু করে জনজীবন।শুরু হয় সাধারণ মানুষের কর্মব্যস্ততা। এর মধ্যে আবহাওয়া অফিস ৫ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তিন(০৩) নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড়টি গতকাল সন্ধ্যা কিংবা সন্ধ্যার পরপর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম শুরু করলেও তার কোনো প্রভাব পড়েনি পায়রা বন্দর এলাকায়। ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রভাগের স্থলভাগে হানা ও অতিক্রমকালে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও তা মুলত পরিলক্ষিত হয়নি পায়রার উপকূলে।
কুয়াকাটার জেলে জামাল হোসেন বলেন,গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এখানকার আবহাওয়া অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ছিলো। জোয়ারে সাগরের পানিও ছিল স্বাভাবিক, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাড়েনি পানিও। এই ঘূর্ণিঝড়ে বিপদ সংকেত এর সাথে আবহাওয়া কোন মিল ছিলো না বলে ধারনা তাদের।
ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) কলাপাড়ার ৭নং লতাচাপলী ইউনিয়ন ও কুয়াকাটা পৌরসভার দলনেতা মো. শফিকুল আলম বলেন, যদিও জ্বলোচ্ছাসের পূর্বাভাস ছিলো আবহাওয়া অফিসের। সাত(০৭) নম্বর বিপদ সংকেতের ফলে সাধারণত আবহাওয়া যতটা বৈরী হয়ে ওঠার আশংকা ছিল তার কোনো কিছুই হয়নি। তবে আমাদের স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত ছিল। ঘূর্ণিঝড় হামুন’র কোন প্রভাব না পড়ায় উপকূলে জানমালের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
কলাপাড়া উপজেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুত কমিটির সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, দুযোর্গ মোকাবিলায় আমাদের ১৭০টি সাইক্লোন শেল্টার, ২০টি মুজিব কেল্লা ও তিন হাজার ১৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত ছিলো। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কোন প্রভাব না পড়ায় ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি।