আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২১ ২:৩৮ অপরাহ্ণ
বার্তা ডেস্ক ॥
ভার্চুয়াল জগতে নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরতেই পারেন সাধারণ মানুষ, সেখানে দমননীতি চালানো উচিত নয়। করোনা পরিস্থিতিতে ভারত মৃত্যুপুরীতে পরিণত হওয়ার পেছনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে ভার্চুয়াল জগতে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। আর এর জেরে ফেসবুক-টুইটারে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সেই সব অভিযোগ আটকানোর অভিযোগ উঠছে। ঠিক ওই সময় এমন মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। খবর ইন্ডিয়ান টুডে ও এনডিটিভি। গতকাল শুক্রবার আদালতে শুনানি চলাকালীন বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘‘দেশের নাগরিক এবং বিচারপতি হিসেবে একটা বিষয় নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন আমি। তা হল, দেশের কোনও নাগরিক যদি নেটমাধ্যমে অভাব-অভিযোগ তুলে ধরেন, সেক্ষেত্রে তথ্যের ওপর দমন নীতি নেওয়াকে সমর্থন করি না। নাগরিকদের কথা আমাদের কানে পৌঁছতে দিন। আগামী দিনে হাসপাতালে শয্যা এবং অক্সিজেনের অভাব নিয়ে নেটমাধ্যমে মুখ খুলে কাউকে যদি হেনস্থার শিকার হতে হয়, তা আদালতের অবমাননা বলে গণ্য হবে।’’ আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতি নিয়ে দেশ জুড়ে যে অব্যবস্থার ছবি সামনে এসেছে, তা নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছে ভারতের শীর্ষ আদালত। গতকাল শুক্রবার তার শুনানি চলাকালীন নেটমাধ্যমে নাগরিকদের অভাব-অভিযোগের কথা উঠে আসে। সেখানেই আদালত সাফ জানিয়ে দেয় কোনও ধরনের তথ্য ধামাচাপা দেওয়াকে সমর্থন করে না।