বার্তা ডেস্ক ॥ ভোলার চরফ্যাসনে দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলী ও আধুনিকতার নিপুণ ছোঁয়ায় নির্মিত একটি মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে। এটি জেলার প্রথম পরিবেশবান্ধব স্থাপনা বলে দাবি করছেন নির্মাণ-সংশ্লিষ্টরা। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের আগে স্থানীয় সহস্রাধিক আলেম-ওলামা ও ইমাম নিয়ে মসজিদটি উদ্বোধন করেন ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব।
জানা গেছে, ভূগর্ভস্থ একটি তলাসহ চার তলাবিশিষ্ট এই মসজিদের আয়তন ৫৩ হাজার ২০০ বর্গফুট। এতে একসঙ্গে সাড়ে ৪ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। নিচে রাখা হয়েছে ৫ শতাধিক নারীর নামাজের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশ। মসজিদ কমপ্লেক্সে রয়েছে ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা। আছে প্রশস্ত অজু ও গোসলখানা এবং শৌচাগার। নির্মাণকাজ শেষ হতে সময় লেগেছে প্রায় ৬ বছর। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পরিবেশ সুরক্ষা ও আবহাওয়া উপযোগী করে উপকূলীয় এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে এই দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। ভবনের দেয়ালে সিরামিক ইটের নিপুণ গাঁথুনির মধ্য দিয়ে প্রবেশ করছে নির্মল বাতাস। দাবি করা হচ্ছে, এটি বাংলাদেশের প্রথম গ্লাস গম্বুজ মসজিদ। কাচের গম্বুজ ভেদ করে দিনের আলো মসজিদের ভেতরে ছড়াচ্ছে। বাহিরে আছে রংবেরঙের এলইডি বাতির আলোক রশ্মি। প্রকৃতিবন্ধব নির্মাণশৈলীর এই মসজিদ ধর্মপ্রাণ মানুষকে আরাম-আয়েশে ইবাদতে আকৃষ্ট করবে। চরফ্যাসন পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসান বলেন, মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে। এতে জাতীয় সংসদ ভবনে ব্যবহৃত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন সাদা ফেয়ার ফেস সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে সাদা ফেয়ার ফেস পলেস্তারার আবরণ। যার স্থায়িত্ব প্রায় শতবছর। সৌন্দর্যবর্ধনে ফোয়ারা আর নজরকাড়া ফুলের বাগান তৈরি করা হয়েছে। পৌর মেয়র মো. মোরশেদ বলেন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, জেলা পরিষদ, চরফ্যাসন পৌরসভা এবং এমপি জ্যাকবের ব্যক্তিগত অর্থায়নে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। উদ্বোধন শেষে সংসদ সদস্য জ্যাকব বলেন, আমার জীবনে স্বপ্ন ছিল একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণের। এর মাধ্যমে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হওয়ায় মহান আল্লাহর কাছে লাখো কোটি শুকরিয়া আদায় করছি।