Notice: Function _load_textdomain_just_in_time was called incorrectly. Translation loading for the rocket domain was triggered too early. This is usually an indicator for some code in the plugin or theme running too early. Translations should be loaded at the init action or later. Please see Debugging in WordPress for more information. (This message was added in version 6.7.0.) in /home/dailyajkerbarta/public_html/wp-includes/functions.php on line 6114
গৌরনদীর হাট-বাজারে তরমুজের মুল্য আকাশচুম্বী - আজকের বার্তা
আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

গৌরনদীর হাট-বাজারে তরমুজের মুল্য আকাশচুম্বী


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২১ ৬:০১ অপরাহ্ণ গৌরনদীর হাট-বাজারে তরমুজের মুল্য আকাশচুম্বী
Spread the love
গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি ॥
বরিশালের গৌরনদীতে গ্রীস্মকালীন রসালো ফল তরমুজের মূল্য আকাশচুম্বী। এলাকার গরিব ও মধ্যবিত্তরা এখন আর গরমে তৃষ্ণা মেটাতে এ স্বস্তিদায়ক এ রসালো ফলটি কিনতে পারছেনা। ব্যাবসায়ীদের কারসাজিতে ফলটির মূল্য চলেগেছে সাধারন মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ফলে রসালো এ ফলটি এখন ধনিদের ফলে পরিনত হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে মূল্য বৃদ্ধি পেতে পেতে এ ফলটির মুল্য এখন আকাশচুম্বী। এ অবস্থা নিয়ন্ত্রনে মাঠে নেমেঠে গৌরনদী উপজেলা প্রশাসন। বাজারে গ্রীস্মকালীন এ ফলটির মূল্য স্বাভাবিক রাখতে বরিশাল জেলা প্রশাসক মোঃ জসীম উদ্দিন হায়দারের নির্দেশে গৌরনদী উপজেলা বাজার মনিটংরি কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ^াস গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালান। এ সময় অস্বাভাবিক দামে তরমুজ বিক্রির দায়ে তিনি তিনজন তরমুজ ব্যবসায়ীকে তিন হাজার পাঁচশ’ টাকা জরিমানা করেন। একই সময় তিনি সহনীয় দামে তরমুজ বিক্রির জন্য বিক্রেতাদের প্রতি আহবান জানান। এ ছাড়া কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করায় ৫ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে তাদেরক সর্তক করে দেন। বাজার ঘুরে দেখাগেছে, রমজানের পূর্বে যে তরমুজগুলো পিচ হিসেবে বিক্রি হত, এখন তা কেজীদরে বিক্রি হচ্ছে। গৌরনদীর বিভিন্ন হাট-বাজারের ফলের দোকানগুলোতে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০ টাকা কেজিদরে তরমুজ বিক্রি করা হচ্ছে। এতে করে ছোট সাইজের এক একটি তরমুজের মূল্য গিয়ে দাড়ায় দেড় থেকে দুই’শ টাকায়। রমজানের পূর্বে তরমুজের দাম কিছুটা কম থাকলেও রমজান শুরু হওয়ার পর থেকে তরমুজের দাম লাগামহীন হয়ে পরেছে। ফলে এ ফলটির ক্রয় ক্ষমতা গরিব ও মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে চলে গেছে। গ্রীস্মের প্রচন্ড তাপদাহের সময় গ্রামবাংলার সাধারন মানুষের তৃপ্তি মেটাতে অতি প্রয়োজনীয় ও স্বস্তিদায়ক রসালো ফলটি এখন আর গরিবের ফল হিসেবে রইল না। এটি এখন ধনিক শ্রেনীর ফলে পরিনত হয়েছে। উদোর পিন্ডি বুদোর ঘারে চাঁপাতে ব্যাস্ত স্থানীয় ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, মোকামে তরমুজের মূল্য বেশি নেওয়া হচ্ছে। ফলে এর প্রভাব পড়ছে খুচরা বাজারে। মোকাম থেকে কেজি দরে তরমুজ ক্রয় করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে কোন ব্যবসায়ীই এর সদুত্তর দেননি। তরমুজের মূল্য আকাশচুম্বী হওয়ায় সোচ্চার হয়ে উঠছেন ক্রেতারাও। ইতোমধ্যে তরমুজের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের নানা সমালোচনা করছেন। ব্যবসায়ীদের শিক্ষা দিতে তারা জনগনকে তরমুজ না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। এ সকল তৎপরতার মুখে তরমুজের মূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে বিষয়টিকে আমলে নিয়ে মাঠে তৎপরতায় নেমেছে গৌরনদী উপজেলা প্রশাসন।