বাকেরগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ: ঠকছেন ক্রেতারা
আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২১ ৬:০৩ অপরাহ্ণ
বায়েজিদ বাপ্পি, বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
বাকেরগঞ্জের ব্যবসায়ীরা তরমুজ কিনছেন একভাবে আর বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করছেন অন্যভাবে। তরমুজ কিনে ক্রেতারা ঠকছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মৌসুমের শুরু থেকেই তরমুজের দাম চড়া। তবে রমজান আর বৈশাখের খরতাপকে কেন্দ্র করে সবুজ তরমুজেও আগুন লেগেছে।যে আগুনে নিম্মবিত্ত তো দূরের কথা,মধ্যবিত্তরাই পুড়ে ছারখার। অথচ দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপদাহে রোজার ইফতারের প্রধান উপকরণ হওয়ার কথা তরমুজ। কিন্তু এই স্বস্তি খুঁজতে চড়া মূল্যে দিতে হচ্ছে ক্রেতাদের। কারণ, দুদিন ধরে বাজারে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। রোজা শুরু হওয়ার পর গত দুদিনের ব্যবধানে তরমুজের দাম কেজিতে বেড়েছে প্রায় ২০ টাকা। কৃষক পর্যায় থেকে পাইকাররা পিস হিসেবে বা ক্ষেত ধরে কিনে আনা তরমুজ খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করছেন কেজি দরে। যার ফলে দামে ঘটছে বিস্তর ফারাক। এমন পরিস্থিতিতে দেশের জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুকে অনেকে ক্ষোভ ঝাড়ছেন। পরিবারের জন্য প্রিয় ফলটি না কিনতে পেরে হতাশায় ভুগছেন। মৌসুমি এই ফলটির পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেকে কেজি দরে তরমুজ বিক্রিকে ভোক্তাদের সঙ্গে বড় রকমের প্রতারণা ও চালবাজি আখ্যায়িত করছেন। কেজিদরে তরমুজ কিনতে চাচ্ছেন না তারা। ক্রেতাদের এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আড়ৎদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। লকডাউন ও ভালো ফলন না হওয়ার অযুহাত দেখাচ্ছেন তারা। কলসকাঠী বাজারের একজন ক্রেতা বলেন, এক সপ্তাহ আগেও তরমুজ কিনেছি ৪০ টাকা কেজি। এখন কিনলাম ৫০ টাকা। একটি ছোট তরমুজ কিনতেই সাড়ে ৩০০ টাকা লাগলো। ক্ষুব্ধ ক্রেতারা বলেন,কেজি প্রতি কিছুটা দাম বাড়িয়ে দিলেই একটি তরমুজের দাম বেড়ে যাচ্ছে অনেক। রমজানের আগে তরমুজ ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে। বাকেরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কাচা বাজারে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। সেখানে এখন সর্বনিম্ন ৫০ টাকা কেজি চলছে। এ বিষয়ে জানা গেছে,সিন্ডিকেট ও মধ্যস্তভোগীরা বেশি লাভবান হতে এমন দর বাড়িয়ে দিয়েছেন। চাষিরা যদি সরাসরি ভোক্তাদের কাছে তরমুজ বিক্রি করতে পারে তাহলে দাম অনেক কম হবে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাকেরগঞ্জ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম উজ্জল বলেন,এ ব্যাপারে আমরা এখন পর্যন্ত অবহিত নই। পাইকাররা কোথা থেকে কিনে,কতো টাকা করে কিনে তা আমাদের জানা নেই। বাজার মনিটরিং করে দেখতে হবে কিভাবে কিনছে পাইকাররা।