আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২১ ৬:০২ অপরাহ্ণ
Spread the love
আরিফ হোসেন, বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি ॥
ঈদকে সামনে রেখে বরিশালের বাবুগঞ্জের টেইলার্স গুলোতে চরম দুশ্চিন্তা ও দুরবস্থা দেখা গেছে। কারিগর সংকট ও করোনা প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় পোশাক তৈরির অর্ডার নেই বলতেই চলে। এ অবস্থায় চরম দুরবস্থা তাদের। করোনা বদলে দিয়েছে তাদের ব্যস্ততা। কোন রকমের টিকে থাকার জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন তারা। গতকাল বাবুগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের টেইলার্স গুলোতে কথা বলে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। বাবুগঞ্জ বাজারের পাঞ্জাব টেইলার্সের মালিক মোঃ সবুজ প্যাদা বলেন, আগে ঈদ ঘনিয়ে আসলেই ব্যস্ততা বাড়তো বাবুগঞ্জের দর্জিপাড়ায়। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সেলাইয়ের দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েই যেত । ফ্যাশন সচেতন তরুণ-তরুণীরা পছন্দের কাপড় কিনে মনের মতো পোশাক সেলাই করতে ছুটে আসতো দর্জিপাড়ায়। দেরি হলেই হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে দর্জি দোকানের দরজা। তাই সময় ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই নিজের ঈদের পোশাকটি হাতে পাওয়া নিশ্চিত করতে সবাই ছুটে আসতো দর্জির দোকানে। আর ক্রেতাদের চাহিদা পূরণের জন্য দর্জিপাড়ায় আমাদের কাটাতে হত নির্ঘুম রাত। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি সবকিছু বদলে দিয়েছে। শুধু টিকে থাকার সংগ্রাম চলছে। সরেজমিনে বিভিন্ন দর্জির দোকানে ঘুরে কথা হয় কারিগর ও ক্রেতাদের সাথে। তারা বলছেন, অনেকেই আছেন যারা দোকানের তৈরি পোশাক বা রেডিমেড ড্রেস পছন্দ করেন না। এ ধরনের পোশাকের ফিটিং মনমতো হয় না। মূলত তাদেরই গন্তব্য দর্জিপাড়ায়। তাছাড়া অন্যদের সঙ্গে যেন নিজের ঈদের পোশাকটি না মিলে যায়, সে কারণেও অনেকে দর্জির কাছে ছুটে আসতেন কিন্তু এবছর করোনা মহামারীর কারণে ক্রেতা আসছেনা। দর্জিপাড়ার ব্যস্ততা না থাকা নিয়ে কারিগররা বলেন, আগে অতিরিক্ত চাহিদার কারণে মৌসুমী কারিগর সংগ্রহ করতেন দর্জি মাস্টাররা। এ বছর করোনা প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় ও সরকারের বেধে দেওয়া লকডাউনের কারণে দোকানে আসতে পরিবহন খরচ বেশি গুনতে হয়। তাছাড়া অন্য বছরের মত এবার ক্রেতা কম থাকায় কাজের চাপ নেই। এভাবে চলতে থাকলে পরিবার পরিজনদের নিয়ে বেচে থাকা দুষ্কর হয়ে যাবে ।