নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পিরোজপুরের নেছারাবাদে শর্মি দাস নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী গলায় ফাঁস লাগিয়ে ‘আত্মহত্যা’র খবর পাওয়া গেছে। সোমবার উপজোলার সমেদয়কাঠি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে নিহতের স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শর্মি দাস (৩০) সোনালী ব্যাংক নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলা শাখার সেকেন্ড ম্যানেজার দীপঙ্কর দাসের স্ত্রী। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নেছারাবাদ কাউখালী থানার সার্কেল অফিসার মোসা সাবিহা মেহবুবা বলেন, ‘তদন্ত ও লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পেয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।’
নিহতের স্বামী দিপঙ্কর দাস বলেন, ‘আমি কিছু বলতে পারব না। ঘটনার দিন আমি অফিসে ছিলাম। অফিসে বসে জানতে পারি স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে।’ প্রতিবেশী স্বপন বলেন, ‘দুপুরে তাদের বাসায় চিৎকার শুনে দৌড়ে এসে দেখি। ঘরের লোক শর্মির রুমের দরজা ধাক্কা-ধাক্কি করে খুলতে পারছে না। এ সময় তাদের বাসার সবাই মিলে সজোরে ধাক্কা দিয়ে দরজা ভেঙে রুমে প্রবেশ করি। তখন দেখতে পাই ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো শর্মি দাসের লাশ ঝুলছে।’ নিহতের চাচি শাশুড়ি আলো দাস বলেন, ‘দুপুরে শর্মি রান্না করে রুমে ঢুকে মোবাইল ফোন চালাচ্ছিল। কিছু সময় পর রুমের দরজা লাগিয়ে দেয় শর্মি। এর কিছুক্ষণের মধ্য তার ছোট ছেলে স্কুল থেকে ফিরে বাসায় ঢুকে রুমে গিয়ে তার মাকে ডাক দিলে দরজা খুলে না। এ সময় সবাই ছুটে এসে দরজা ভেঙে দেখি সে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে।’
নেছারাবাদ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক লিমা আক্তার বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই শর্মি দাসের মৃত্যু হয়েছে। গলায় ফাঁসের দাগ দেখা গেছে।’ নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আহমেদ বলেন, ‘শুনেছি আত্মহত্যা। লাশ ময়নাতদন্ত না করে সঠিক কিছু বলা যাবে না।’