নিজস্ব প্রতিবেদকঃ এক সময়ের তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা মো. আসাদুজ্জামান বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে লড়াই করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তিনি রোববার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে চাইছেন আসাদুজ্জামান, যিনি বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত না থাকলেও বরিশালে সকলের কাছে সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে সমাদৃত। দুই যুগের অধিক সময় ধরে তিনি এই পেশার সাথে জড়িত।
মনোনয়ন সংগ্রহের পর রোববার তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় পঞ্চাশোর্ধ্ব সাংবাদিক আসাদুজ্জামান জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা এবং তাদের জনপ্রতিনিধিদের অনাচারে বরিশাল শহরের বাসিন্দাদের বৃহৎ একটি অংশ সংক্ষুব্ধ। মূলত তাদের প্রেরণায় তিনি প্রার্থিতা করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন, যেমনটি করেছিলেন বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনেও। বিশেষ মহলের চাপে শেষাবধি আর টিকতে পারেননি, অনেকটা বাধ্য হয়েছিলেন মনোনয়ন তুলে নিতে। তবে এবার তিনি প্রতিদ্ব›দ্বীতার জোর ইচ্ছাশক্তি নিয়ে লড়াইয়ের মাঠে নেমেছে, এবং এতে সুশীলমহল, সাংবাদিক, রাজনৈতিক এবং সর্বসাধারণের সহযোগিতা আছে। স্বনামধন্য আসাদুজ্জামান বরিশালের আলোচিত সাংবাদিক সংগঠন ‘নিউজ এডিটরস কাউন্সিল, বরিশাল’র কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত এবং মানবিক কর্মকান্ডেও রয়েছে তাঁর বিশেষ অবদান।
আসাদুজ্জামান বলেন, বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনে তাঁর বিজয় ছিল অবশ্যম্ভাবী কিন্তু বিশেষ মহলের ক্ষমতার কাছে তিনি একধরনের পরাস্থ হয়েছেন। আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় এক নেতার নির্দেশে তাকে ওই সময় হুমকি-ধামকির ওপর রাখা হয়েছিল। তবে এবার সিটি নির্বাচনে তেমন কিছুর আশঙ্কা আপাতত নেই, জানিয়ে তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে বিগত বরিশাল সিটি মেয়রদের অত্যাচারে নাগরিকরা ওষ্ঠাগত। তারা নির্বাচন পুর্বাপর আশার বাণীসহ নানা প্রলোভন দিয়ে ফায়দা লুটেছে, শহরবাসীর পকেট কেটেছে, মানুষসংক্ষুব্ধ রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধিদের ওপর। বরিশাল সিটির মানুষ এখন আর রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধি চায় না, তারা চাইছেন একজন সেবক, যিনি শহরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে নেবে এই নগরকে। মানুষের সেই প্রত্যাশা পূরণের ইচ্ছাশক্তি নিয়েই মেহেন্দিগঞ্জের কাজিরহাট থানাধীন একটি গ্রামের সন্তান আসাদুজ্জামান প্রার্থী হয়েছেন। বর্তমানে এই প্রতিদ্ব›দ্বী শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার এবং তিনি শহরের আগরপুর রোডে বসবাস করছেন। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান কর্মক্ষেত্রে বেশ আলোচিত। বিশেষ করে প্রতিবাদী ক্ষুরধার লেখালেখি করে বিগত সময়ে সর্বমহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।’