নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশাল সদর উপজেলার কড়াইতলা নদীর বীজদলন এলাকায় পা বেঁধে মারধরের সময় নদীতে ঝাপিয়ে পড়া এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। তাকে অচেতন অবস্থায় শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করে পুলিশ। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার জ্ঞান ফেরে তোতা মিয়া নামে ওই যুবকের।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, তোতা মিয়া নামে ওই ব্যক্তি স্থানীয় চরমোনাই ইউনিয়নের চাঁদেরহাট গ্রামে শ্বশুর নুরুজ্জামানের বাড়িতে থেকে রং মিস্ত্রির কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। ওই এলাকার জনৈক জাহিদ তার কাছে টাকা ধার চায়। তোতা টাকা দিতে না চাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয় সে।
ওসি আরও জানান, গত বুধবার বিকালে জাহিদ কৌশলে স্পিডবোটে তোতাকে নিয়ে নদীতে বেড়ায়। একপর্যায়ে সহযোগীদের নিয়ে তোতার পা বেঁধে ফেলে জাহিদ। হাত বাঁধার সময় ধস্তাধস্তি করে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে চিৎকার দেয় তোতা। এর আগে তার সাথে থাকা ৪ হাজার টাকাসহ মানিব্যাগ এবং মুঠোফোনের সিমটি নিয়ে নেয় তারা। কড়াইতলা নদীর পয়েন্টে পানি কম থাকায় স্থানীয়রা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়। পরে অচেতন অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। শের-ই বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোর সাড়ে ৩টায় জ্ঞান ফেরে তার। এরপর তার সঙ্গে ঘটা ঘটনা পুলিশকে জানান তিনি। এ ঘটনায় তাকে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে বলে জানান ওসি। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।