আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

সৌদি আরবে নিয়ে বরিশালের যুবক আল-আমিনকে সাপ্লাই কোম্পানিতে বিক্রি!


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: মার্চ ২২, ২০২৩ ২:৫০ অপরাহ্ণ সৌদি আরবে নিয়ে বরিশালের যুবক আল-আমিনকে সাপ্লাই কোম্পানিতে বিক্রি!
Spread the love

সৌদি আরবে বড় কোম্পানিতে চাকরির আশ্বাস দিয়ে বরিশালের আল-আমিন গাজী নামে এক যুবককে নিয়ে সাপ্লাই কোম্পানিতে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই যুবককে রিয়াদে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়েছে। আটক যুবক তাকে উদ্ধারের অনুরোধ জানিয়েছেন।

 

এ ঘটনায় বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আল-আমিন গাজীর স্ত্রী সানজিদা আক্তার মিম। জানা গেছে, বরিশাল নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডের আব্দুর রাজ্জাক স্মৃতি কলোনীর বাসিন্দা আল আমিন গাজী একই এলাকার জাহাঙ্গীর হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদারের মাধ্যমে ১৮ মার্চ সৌদি আরবে যান। এতে খরচ বাবদ পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছেন সুমন।

 

সানজিদা আক্তার মিম বলেন, আমার স্বামীকে কোম্পানির চাকরির কথা বলে নেওয়া হয় এবং কথা ছিল যাওয়ার দুই দিনের মধ্যে কাজে যোগ দেওয়াবে। কিন্তু আমার স্বামী জানিয়েছেন তাকে কোনো কোম্পানিতে জয়েন না করিয়ে বিমানবন্দর থেকে দালাল রিসিভ করে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে রিয়াদে নিয়ে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়েছে। ঠিকমতো খাবার দেয় হচ্ছে না বলে জানা গেছে।

 

তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে সুমন হাওলাদারকে জানালে তিনি আমাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। আমি থানায় অভিযোগ দেওয়ায় সুমন এখন বলছে, চাইলে আমার স্বামীকে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে দেবে। কিন্তু আমাদের যে খরচ হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা তার এক টাকাও ফেরত দেবে না।

 

সানজিদা আক্তার মিম বলেন, একটা সুন্দর স্বপ্ন নিয়ে স্বামীকে বিদেশ পাঠিয়েছি। এখন আমার স্বামীকে নিয়ে পণ্য করে ফেলেছে। সরকারের কাছে আবেদন আমার স্বামীকে বাঁচান। অনেক কষ্টে টাকা জমিয়ে তিনি বিদেশ গেছেন। সেই টাকা ফেরত না পেলে আমাদের আত্মহত্যা ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না।

 

ওদিকে সৌদি আরবে দালালের খপ্পড়ে পরা যুবক আল-আমিন গাজী নিজের ফেসবুকে অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে পোস্ট দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, সৌদিতে সাপ্লাই ভিসার ফাঁদে পড়েছি। জানি না কীভাবে দেশে ফিরতে পারব। আল্লাহ, সৎভাবে বাঁচতে চেয়েছে।

 

আল-আমিন গাজী বলেন, অনেক মানুষকে এখানে এনে আটকে রাখা হয়েছে। এরা বড় বড় কোম্পানির কথা বলে এনে সৌদির বিভিন্ন এলাকায় আটকে রাখে। এসব লোকদের এনে পাসপোর্ট ভিসা রেখে দিয়ে দালালরা অন্য কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দেয়।

 

তিনি বলেন, আমি প্রতারণার শিকার হয়েছি। আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। সৌদি দূতাবাসেও অনেকবার ফোন করেছি। কিন্তু কল রিসিভ করেনি। খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি। কখন কী হয় জানি না। একটি কক্ষে খুব মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমাকে বাঁচান।

 

কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরাফাত হাসান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। আমরা ঘটনা তদন্ত করে দেখছি।’’