বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ভোলায় দিনব্যাপী জেলে উৎসবের আয়োজন করা হয়। মেঘনা পারের কয়েক হাজার জেলেরা নদীতে মাছ ধরেন। সারাক্ষণ নদীতে থাকায় তাদের বিনোদনের সময় হয়ে উঠে না। উপকূলের সেই সব জেলেদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছে এ জেলে উৎসবের। শুক্রবার (১৭ মার্চ) দিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করে তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্যজীবী লীগ।
আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বেকার দিন কাটাচ্ছিলেন মেঘনার জেলেরা। তাই জেলেদের নিয়ে এ উৎসবের আয়োজন। আয়োজন ঘিরে ছিল উচ্ছ্বাস আনন্দ। বাঁধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেন জেলে এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা।
কাবাডি, বেত খেলা, হাড়ি ভাঙ্গা, ফুটবল, সেফটিপিন ও ঘূড়ি উড়ানো প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে পুরস্কার জিতে নেন জেলে এবং তাদের পরিবারের শিশুরা। এমন উৎসবে অংশ নিতে পেরে নদী পারের জেলেরা খুশি তারা। এ জন্য তারা আয়োজদের ধন্যবাদ জানান। জেলে আ. রহিম, সাজাহান ও সেলিমসহ অন্যরা জানান, আমরা নদীতে মাছ ধরি, বিনোদনের কোনো সময় হয় না, এখন মাছ ধরা বন্ধ তাই বেকার দিন কাটাচ্ছিলাম। খুব খারাপ লাগছিল। কিন্তু এ উৎসবে আসতে পেরে অনেক ভালো লাগছে। আমরা দু:খ কষ্ট ভুলে গেছি। খুব ভালো লাগছে। প্রতিযোগীতায় জেলেদের সঙ্গে উচ্ছ্বাসিত কোমলমতি শিশুরাও। তারাও অংশ নিয়েছে গ্রমীণ এ খেলায়। জেলে শিশু মুনিয়া, শান্তা ও মারজিয়া বলেন, আমাদের খুব ভালো লাগছে। আমরা বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়েছি। এমন আনন্দ কখনও হয়নি।
ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধূরী শাওন বলেন, ভোলার প্রতি বঙ্গবন্ধুর নাড়ীর টান রয়েছে। তিনি জেলেসহ সব মানুষকে ভালোবাসতেন। তাই বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগাভাগি করতেই এমন আয়োজন করা হয়েছে। এতে জেলেরা অনেক খুশি। এ উৎসবে ১০ হাজার জেলে অংশ নিয়েছে এবং বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়েছে ৩ শতাধিক জেলে। এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং কেক কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করে প্রধান অতিথি সাংসদ নুরুন্নবী চৌধূরী শাওন।