আজকের বার্তা
আজকের বার্তা

বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিলের দাবিতে চরফ্যাশনে মানববন্ধন


আজকের বার্তা | প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩ ১:৩৩ অপরাহ্ণ বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিলের দাবিতে চরফ্যাশনে মানববন্ধন

শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হয়নি। বরং আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করার জন্য অস্ত্র তুলে দেয়া হয়েছে। আগামী প্রজন্মকে রক্ষার জন্য এ পাঠ্যক্রম বাংলাদেশে পড়তে দেয়া উচিত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, ভোলা জেলা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মুহা. মনিরুল ইসলাম মুহিন।

 

শিক্ষাক্রম প্রনয়ণ ২০২১’ বাস্তবায়ন২০২৩ বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল ও পাঠ্যক্রম প্রণয়নে জড়িতদের তদন্তপূর্বক শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার চরফ্যাশন সদররোড মানববন্ধন ও চরফ্যাশন উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ চরফ্যাশন থানা কমিটি।

 

জেলা সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মুহিন আরো বলেন, শিক্ষকরা হচ্ছেন জাতির বিবেক। কিন্তু শিক্ষাক্রম প্রণয়নে জাতির বিবেকরা যখন চৌর্যবৃত্তির আশ্রয় নেয় তখন তা জাতির জন্য লজ্জার। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের স্বকীয়তা নষ্ট করতে এবং আগামীর প্রজন্মকে নৈতিকতা বিবর্জিত জাতিতে পরিনত করার গভীর ষড়যন্ত্র নিয়ে শিক্ষা সিলেবাসে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। দেশীয় বোধ-বিশ্বাস বিরোধী সেক্যুলার শিক্ষাক্রম দেশের সর্বস্তরের শিক্ষার্থী অভিভাবক বুদ্ধিজীবী সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল ও পাঠ্যক্রম প্রণয়নে জড়িতদের তদন্ত পূর্বক শাস্তি দিতে হবে অন্যথায় সর্বস্তরের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

 

চরফ্যাশন থানা সভাপতি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন , শিক্ষা সিলেবাসকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংসের নীলনকশা অংকন করা হচ্ছে। পাঠ্যপুস্তকে ইসলামের অন্যতম বিধান পর্দার বিরুদ্ধে নানা কাল্পনিক গল্প সাজিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ডারউইনের মতবাদের মাধ্যমে আমাদের পুর্বপুরুষদেরকে বানর হিসেবে সাব্যস্ত করার চক্রান্ত হচ্ছে। তিনি বলেন, বিতর্কিত শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের চেষ্টা করলে সচেতন শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে।

 

আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা দক্ষিণ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ আরিফুল ইসলাম, দাওয়া সম্পাদক মুহাম্মদ আল আমিন, তথ্য গবেষণা ও প্রচার সম্পাদক মুহাম্মদ শেখ ফরিদ সহ আরো অন্যান্য প্রমূখ নেতৃবৃন্দ!

 

এম, নোমান চৌধুরী