আজকের বার্তা | প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২১ ১:৪০ অপরাহ্ণ
Spread the love
বার্তা ডেস্ক ॥
আমের দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে খ্যাত যশোর অঞ্চল প্রচন্ড খরার কারণে এবার আমের কাঙ্খিত ফলন হবে না। পুরো যশোর জুড়ে বইছে প্রচন্ড তাপাদহ। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় গাছ থেকে ঝরে পড়ছে আমের মুকুল। ক্ষতির মুখে সর্বশান্ত হতে বসেছে আম চাষিরা। গেল বছর ঘূূণিঝড় আম্ফান ও করোনাভাইরাসের ক্ষতি পুষিয়ে উঠার আশা করছিলেন চাষিরা। এ বছর গাছ ভর্তি আমের মুকুলে হাসি ফুটে উঠে কৃষকের মুখে। প্রচন্ড তাপাদহে আম চাষিদের সেই স্বপ্ন পুড়তে শুরু হয়েছে। বর্তমানে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বয়ে যাচ্ছে যশোর অঞ্চল দিয়ে। আম বাগান গুলোতে মুকুল আশার সাথে সাথে যতœ শুরু করেন চাষিরা। কিন্তু প্রচন্ড দাবাদহে প্রতিদিনই বোঁটা থেকে ঝরে পড়ছে ছোট বড় আম। শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, ‘এ বছর তিন হাজার বিঘা জমিতে আম চাষ করছেন এক হাজারেরও বেশি কৃষক। দেশিলেংড়া, ফজলী, রোপালী, হিমসাগর, গোপালভোগ, আম্রপালী, মল্লিকাসহ অন্তত ২৭৫ আমের বাগান রয়েছে এলাকায়।’ দেশের দ্বিতীয় বড় আমের হাট শার্শার বাগআঁচড়া এলাকা জুড়ে আমচাষের সাথে জড়িত প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক। উপজেলার সামটা গ্রামের মফিজুর রহমান বলেন, ‘আম গাছে অনেক গুটি এসেছিল কিন্তু প্রচন্ড তাপে গাছের গোড়ায় পানি ঢেলেও রক্ষা করা যাচ্ছে না আমের মুকুল। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় আমের ফলন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আম চাষে এখন খরচের টাকাও উঠবে না।’ এ অবস্থা বিরাজ করছে আম উৎপাদনে শীর্ষে থাকা কলারোয়া,চৌগাছা, মহেশপুর এলাকার চাষিরা। ক্ষতিগ্রস্ত আম চাষিরা ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকারের কাছে প্রণোদনার দাবি জানিয়েছেন।