পটুয়াখালীর বাউফলে নাসির উদ্দিন হাওলাদার(৫০) নামে এক স্কুল শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করেছেন উপজেলার ধূলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির দেওয়ান ও তার সহযোগীরা।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ধূলিয়া এনকে স্কুলের পাশে এ ঘটনা ঘটেছে। আহত শিক্ষক নাসির উদ্দিন হাওলাদরকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ধুলিয়া ইউনিয়নের মধ্য চাঁদকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘ধূলিয়া ইউনিয়নের বাসুদেবপাশা মৌজায় আমাদের পৈত্রিক জমিতে শ্রমিকদের দিয়ে বাঁধ দেয়ার কাজ করছিলাম। তখন চেয়ারম্যান সাহেব তাঁর লোকজন পাঠিয়ে আমাদেরকে ধূলিয়া এনকে স্কুল ঘাটে ধরে নিয়ে আসে। এরপর কোনো কথা না বলেই চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির এবং তাঁর ভাইয়ের ছেলেরা আমাকে এলোপাতাড়িভাবে চড়, লাথি, ঘুষি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।
এ বিষয়ে ধূলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির দেওয়ান বলেন, ‘চর বাসুদেব পাশা মৌজায় তরমুজ চাষের জন্য বিভিন্ন জমির মালিকদের কাছ থেকে আমরা ৭০ একর জমি এক বছরের জন্য ভাড়া নিয়েছি।
সেই জমিতে কাজ করার সময় ওই শিক্ষক বাঁধা দিলে তার সাথে আমার ভাই এবং ভাইয়ের ছেলের তর্ক বিতর্ক হয়। তখন আমার ভাই হেমায়েতকে (৩৫) পিটিয়ে আহত করে নাসির উদ্দিনের লোকজন। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সবাইকে নিবৃত করি। আমার ও আমার ভাইয়ের ছেলেদের সম্পর্কে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, এমন কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরেফিন সহিদ/বাউফল প্রতিনিধি