হিজলায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৪ শ’ জেলের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক: বরিশালের হিজলা উপজেলার খালিশপুর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মা ইলিশ শিকার বিরোধী অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তারা। তাদের হামলায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, ৬ পুলিশ, পুলিশের ট্রলার মাঝি এবং জেলেসহ অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন।

এ ঘটনায় ৯ জেলেকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সরকারি কাজে বাঁধা এবং হামলার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে প্রায় ৪০০ জেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। হিজলা থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া জানান, হিজলার হিজলা গৌরবদী ইউনিয়নের খালিশপুর সংলগ্ন বড় মেঘনা নদীতে গত বুধবার গভীর রাতে ৬৫ থেকে ৬০টি ট্রলারে ৩ থেকে ৪০০ জেলে মাছ শিকার করছিলো। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমএম পারভেজের চাহিদার প্রেক্ষিতে তার নেতৃত্বেবৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে ১৮ জন পুলিশ সদস্যসহ একটি ট্রলার মেঘনা নদীতে অভিযান চালায়। পুলিশ একটি ট্রলারসহ ৯ জন জেলেকে আটক করে।

এসময় নদীতে মাছ শিকাররত অন্যান্য জেলেরা পুলিশের ট্রলার লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এক পর্যায়ে তারা বাঁশ এবং লাঠিসোটা নিয়ে পুলিশ ট্রলারে হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ২ রাউন্ড গুলি করে জেলেদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। জেলেদের হামলায় মৎস্য কর্মকর্তা এমএম পারভেজ, এসআই ফরিদ, এএসআই বশির, সাইফুল ও সোহেল এবং কনস্টেবল মাহফুজুর রহমান ও মোশারফ হোসেন, পুলিশ ট্রলারের ২ মাঝি এবং আটক জেলেদের মধ্যে ৫ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত কনস্টেবল মাহফুজকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার মুখেও হালেম রাড়ি (৩০), মজিবুল হোসেন ফকির (৪৭), টিপু হাওলাদার (২২), সালেহ ফরাজী (৫২), জুয়েল চৌকিদার (২০), হোসেন বেপারী (১৯), কদম আলী হাওলাদার (৩৫), মনির সিকদার (৩৫) এবং হারুন ফকির (২৫) নামে ৯ জেলেকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

তাদের সকলের বাড়ি হিজলার চরদেবুয়া এলাকায়। এ ঘটনায় থানার আহত এসআই ফরিদ বাদী হয়ে আটক ৯ জনসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা ৩০০-৪০০ জেলেকে আসামি করে বৃহস্পতিবার সকালে একটি মামলা করেছে। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সকালে ৯ জেলেকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত তাদের কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দিয়েছেন। বর্তমানে মেঘনা নদীতে পুলিশের নজরদারী বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন হিজলা থানার ওসি।