চার ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরীদল শতাব্দি বাঁধন লঞ্চের শিশু শ্রমিক মোঃ কাওসারের (১৩) মরদেহ উদ্ধার করেছে। বুধবার সন্ধ্যায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আমতলী লঞ্চঘাট পায়রা নদীতে বুধবার দুুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, ঢাকা-আমতলী রুটে চলাচলকারী শতাব্দি বাঁধন লঞ্চের কাওসার ও শিহাব নামের দুই শিশু বুধবার দুপুরে পায়রা নদীতে গোসল করতে নামে। গোসল শেষে শিহাব তীরে উঠলেও কাওসার উঠতে পারেনি। খবর পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার অভিযান চালায়। দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে তারা ব্যর্থ হয়। পরে পটুয়াখালী ফায়ার সাভিসের ডুবুরী দল এসে উদ্ধার কাজে যোগ দেয়। চার ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পায়রা নদী থেকে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী মোঃ মজিবুর রহমান ওইদিন সন্ধ্যায় শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন শিশু শ্রমিক পায়রা নদীতে নিখোঁজের পরপর শতাব্দি বাঁধন লঞ্চটি দ্রুত আমতলী ঘাট ছেড়ে গেছে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ শিশুটির পরিবারের পরিচয় দিতে রাজি হচ্ছে না। শিশুটিকে উদ্ধার কালে পায়রা নদীর তীরে হাজার হাজার উৎসুক জনতা ভীর করেছে।
এদিকে শিশুটি ডুবে যাওয়ার একটি ভিডিও ওইদিন সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ৪৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে লঞ্চের পাশে দুই শিশু ডুবে যাচ্ছিল। এক শিশু সাতরে একটি নৌকায় উঠলেও অপর শিশু উঠতে পারেনি। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা শিশুটিকে ডুবে যেতে দেখেও উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, দুপুরে দুই শিশুকে পায়রা নদীতে ডুবাতে দেখি। কিছুক্ষণ পর শুনতে পাচ্ছি লঞ্চের কাওসার নামে এক শিশু শ্রমিক খুজি পাচ্ছে না।
শতাব্দি বাঁধন লঞ্চের সুপার ভাইজার মোঃ সাকিব বলেন, শিশুটি আগের কেন্টিন মালিকের অধিনে কাজ করতো। ওর পরিচয় সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনা। কিন্তু শিশুটি লঞ্চে আসলো কিভাবে এমন প্রশ্নের জবাব তিনি এড়িয়ে যান।
আমতলী ফাসার সার্ভিসের টিম লিডার মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, চার ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে ডুবুরী মোঃ মজিবুর রহমান শিশুটির মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করেছে।
আমতলী থানার ওসি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, শিশুটির মরদেহ নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু শিশুটির পরিবারের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। সন্ধান পেলে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে কিন্তু পরিবারের সন্ধান না পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোঃ জসিম উদ্দিন সিকদার/আমতলী-বরগুনা