লাক্ষ্মীপুরের রায়পুরের হাসপাতালে সদ্য জন্ম দেয়া নবজাতককে রেখে প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে ইমু নামের এক নারী। এমনটাই অভিযোগ করেছে তার স্বামীর।
বর্তমানে শিশুটি হাসপাতালে রয়েছে বলে জানা গেছে। নবজাতকের মুখে খাবার স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। গতকাল বুধবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রায়পুর জনসেবা হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. রোমান, শিশুর বাবা, নানি ও দাদি। এ ঘটনার বিচার চেয়ে ও স্ত্রীর খোঁজে রাত ১০টায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেন শিশুটির বাবা সুমন।
শিশুর বাবা মো. সুমন বলেন, সোমবার সকালে তার স্ত্রী ইমু প্রসব বেদনা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এর পর তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি নবজাতককে রেখে পালিয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, কয়েক দিন আগে তাকে নিয়ে বাড়িতে আসি। ইমুর শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় চিকিৎসাও করাই। এখন বাচ্চা জন্ম দিয়ে ফেনী শহরের ছেলে মো. হাসান নামে তার এক প্রেমিকের সঙ্গে চলে গেছে।
এদিকে, ইমু মোবাইল ফোনে জানান, ‘আমার স্বামী আমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে স্বামী ও শাশুড়ি আমাকে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করেছে। এ কারণে ওই বাচ্চা হাসপাতালে রেখে অজ্ঞাত স্থানে চলে আসছি। এদের ওপর প্রতিশোধ নিতেই এ কাজ করেছি। সুমনের সঙ্গে আমার এক বছর আগেই সম্পর্ক শেষ।’
এ বিষয়ে রায়পুর থানার ওসি শিপন বড়ুয়া বলেন, নবজাতক শিশুটি তার নানি, দাদি, ফুফু ও বাবার কাছে হাসপাতালে রয়েছে। এ বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।