কলাপাড়া প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জ এলাকার এক গৃহবধূকে (২২) কলাপাড়ায় নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত তিন হোতা শহিদুল ইসলাম মুসল্লী (৩৫), আঃ মালেক হাওলাদার (৫০) ও আলমগীর হোসেনকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে। শুক্রবার দিবাগত ভোররাতে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাড়া গ্রাম থেকে কলাপাড়া থানা পুলিশ এদের গ্রেফতার করে। এঘটনায় শনিবার কলাপাড়া থানায় ধর্ষিত ওই গৃহবধূ একটি মামলা করেছেন।
মামলা ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর ২০১৯ সালে বিয়ে হয়। তার নয় মাসের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। বর্তমানে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। নির্যাতিতা গৃহবধূ অভিযুক্ত মালেক হাওলাদারের মেয়ে শিল্পী আক্তারের সঙ্গে ঢাকায় একই ফ্ল্যাটে থাকতেন। কয়েক মাস আগে আসামি শহীদুল ইসলাম শিল্পীর বাসায় যায়। তখন ভিকটিমকে তার পারিবারিক সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয় শহীদুল। এ জন্য ২০ হাজার টাকায় ওঝার মাধ্যমে সমাধানের চুক্তি হয়।
প্রথমে ১৬, পরে চার হাজার টাকা পরিশোধ করেন ওই গৃহবধূ। এক পর্যায়ে ওঝার তদবির নেয়ার জন্য তাকে কলাপাড়ায় যেতে বলে। সে ২৩ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে একটি বাসে একা কলাপাড়ায় চলে যান। সেখানে গিয়ে প্রথম রাত শহীদুল ইসলামের স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন। দিনভর সেখানে অবস্থান করেন।
২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কৌশলে আঃ মালেকের খালি ঘরে ডেকে নিয়ে গৃহবধূকে দোতলায় তুলে প্রথমে শহীদুল পরে অপর দুই জনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে রাত দুই টায় ওই গৃহবধূকে হত্যার পরে লাশ গুম করার ভয় দেখিয়ে চলে যেতে বলা হয় এবং এঘটনা কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয়া হয়। ওই রাতে নির্যাতিতা নারী কুয়াকাটায় গিয়ে থাকেন। ২৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় গিয়ে বাবা-মাকে সব খুলে বলেন। পরে কলাপাড়া থানার সহায়তা নেন।
কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ জসীম জানান, মামলার আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।