খুঁজুন
সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

জাতীয় ক্রিকেট লিগ

সিনিয়রদের দ্বন্দ্বে বরিশালে অস্বস্তি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫, ৭:৩৪ অপরাহ্ণ
সিনিয়রদের দ্বন্দ্বে বরিশালে অস্বস্তি

জাতীয় ক্রিকেট লিগের চার দিনের আসরে টানা তিন মৌসুম ধরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে বরিশাল। গত বছর শুরু এনসিএল টি-টোয়েন্টিতেও তারা আট দলের মধ্যে হয়েছে অষ্টম। মাঠের এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্সের সঙ্গে সিনিয়র ক্রিকেটারদের দ্বন্দ্বেও জেরবার বরিশাল।

নতুন মৌসুম শুরুর আগে এ নিয়ে দলের মধ্যে বইছে অস্বস্তির হাওয়া। সিনিয়র খেলোয়াড়দের দ্বন্দ্ব নিয়ে অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির একাধিক খেলোয়াড়, কর্মকর্তা। পরিস্থিতি এমন যে বরিশাল দলকে দ্বন্দ্বমুক্ত করতে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটিকেও। সিনিয়রদের পরিবর্তে তরুণ কাউকে অধিনায়ক করার কথাও ভাবছে বোর্ড। বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান আকরাম খান এ নিয়ে বলেছেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর কিছু অভিযোগের কথা শুনেছি। এবার কোচ-ম্যানেজারকে আলাদা করে এসব বিষয়ে বলে দেওয়া হবে। যদি তাতেও কাজ না হয়, তাহলে আমরা অ্যাকশন নেব।’

সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল দলের মধ্যে দুই সিনিয়র ক্রিকেটার ফজলে মাহমুদ ও সোহাগ গাজীর নেতৃত্বে দুটি বলয় গড়ে উঠেছে। এ দ্বন্দ্বের জেরেই গত বছর জাতীয় লিগের চার দিনের আসরের মাঝপথে অধিনায়কত্ব ছাড়েন ফজলে মাহমুদ। তখন তাঁর জায়গায় নেতৃত্বে আসেন তানভীর ইসলাম। পরে এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়ক হন সোহাগ গাজী।

অধিনায়কত্ব ছাড়ার কারণ হিসেবে বোর্ডের কাছে পাঠানো ই–মেইলে দলের বাজে পারফরম্যান্স ও তরুণ নেতৃত্বকে সুযোগ দেওয়ার কথা বলেছিলেন ফজলে মাহমুদ। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত তিন মৌসুম বরিশালকে নেতৃত্ব দেওয়া ফজলে মাহমুদের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব ছিল দলের একটি পক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে দল গঠনে স্বজনপ্রীতিসহ নানা অভিযোগ ওঠার পর অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এ নিয়ে ফজলে মাহমুদের ব্যাখ্যা অবশ্য বিসিবিকে জানানো কথাই, ‘আমি তরুণদের সুযোগ করে দিতে চেয়েছি। এ ছাড়া আর কোনো কারণ নেই।’

ফজলে মাহমুদের নেতৃত্ব ছাড়ার পরও বরিশাল দলের সমস্যা শেষ হয়নি। নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে এ বছর এনসিএল টি-টোয়েন্টি ও চার দিনের আসরের দল গঠন নিয়ে। নিয়ম অনুযায়ী, বিভাগীয় কোচ বিসিবির কাছে ৩০ জনের প্রাথমিক স্কোয়াড পাঠান। এরপর জাতীয় নির্বাচকেরা সেখান থেকে চূড়ান্ত স্কোয়াড তৈরি করেন। কিন্তু এবার সে প্রক্রিয়া শুরুর আগেই সোহাগ গাজী ৩০ জনের একটি স্কোয়াড তৈরি করেন। এই ৩০ জনের ৩-৪ জন দলে আসার যোগ্য নন বলে মনে করেন দলসংশ্লিষ্ট কেউ কেউ। তা ছাড়া নিয়ম অনুযায়ী বিভাগীয় দল কোনো ক্রিকেটার এককভাবে গঠন করতেও পারেন না।

সোহাগ অবশ্য এককভাবে স্কোয়াড নির্বাচনের কথা অস্বীকার করে বলেছেন, ‘আমি জাতীয় দলে তিন সংস্করণে খেলেছি। ১০ বছর ধরে কোনো দিন আমার কাছে স্কোয়াড নিয়ে পরামর্শ চাওয়া হয়নি। এ বছর বিভাগীয় কোচ আমার কাছে একটা ৩০ জনের স্কোয়াড পাঠিয়েছিলেন পরামর্শের জন্য। আমি তা দেখে ঠিক আছে বলেছি।’

সিনিয়র ক্রিকেটারদের দ্বন্দ ছাড়াও বরিশাল দল নিয়ে অভিযোগ আছে আরও। সূত্র জানিয়েছে, বরিশাল দলে এক ক্রিকেটারের ম্যাচ ফি অন্য ক্রিকেটার নিয়ে যান—অতীতে এমন অভিযোগও নাকি বিসিবির কাছে এসেছে। বরিশালের বাইরের ক্রিকেটাররা তাই এই দলে খেলে স্বস্তি বোধ করেন না।

এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে গত বছর দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা তারিক উল ইসলাম বলেন, ‘আমার মনে হয়, বোর্ডের এ বিষয়ে উদ্যোগী হওয়া দরকার। খেলোয়াড়েরা যেন খেলার মধ্যে থাকে। তারা যদি ম্যানেজমেন্টের বিষয়গুলোতে হস্তক্ষেপ করে, তাহলে এটা তাদের জন্য সম্মানজনক হয় না। কাউকে কোনো দায়িত্ব দিলে সেটার জবাবদিহিও থাকা দরকার।’ প্রথম আলো

 

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর হতে পারেনি: টিআইবি পরিচালক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:০৮ অপরাহ্ণ
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর হতে পারেনি: টিআইবি পরিচালক

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর অবস্থান নিতে পারেনি বলে দাবি করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে অঙ্গীকার নিয়ে ধানমন্ডির অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এমন দাবি করেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গত ৫৪ বছর ও ১৫ বছরের জঞ্জাল কাটিয়ে উঠে চট করে দুর্নীতিমুক্ত দেশ করা সম্ভব নয়। এর জন্য সময় লাগবে। দেশে দুর্নীতি বেড়েছে না কমেছে, সে হিসেব টিআইবি এখনও করেনি। তবে দুর্নীতি অব্যাহত আছে।

নির্বাচনি ইশতেহার প্রসঙ্গে টিআইবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর ক্যাপিটাল পেশিশক্তি, অর্থ ও ধর্মের বিষয়ে নির্বাচনি ইশতেহারে পরিষ্কার করা উচিত।’

সরকার পরিচালনায় দুর্নীতি প্রতিরোধ, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনে দলগুলোর অবস্থান ইশতেহারে তুলে ধরা উচিত বলেও মনে করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।

জগদীশ সরস্বতী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুকুর ভরাট: পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে উদ্ধারের উদ্যোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:০৫ অপরাহ্ণ
জগদীশ সরস্বতী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুকুর ভরাট: পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে উদ্ধারের উদ্যোগ

 বরিশাল শহরের ফকিরবাড়ি এলাকায় জগদীশ সরস্বতী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত শতবর্ষী পুকুরটি রাতের আঁধারে অবৈধভাবে ভরাটের অভিযোগে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কর্পোরেশনের বর্জ্যবাহী গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে বালুমাটি এনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পুকুরটি ভরাট করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

ঘটনার খবর পেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এবং পরিবেশবাদী তরুণ সংগঠন ইয়ুথনেট গ্লোবাল দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে রাতারাতি পুকুর ভরাটের সত্যতা মিলেছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পরিবেশ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত নোটিশ প্রদান করেছে। নোটিশে তিন কার্যদিবসের মধ্যে পুকুরটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ না মানলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জলাধার ভরাট সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং অতি দ্রুত পুকুর পুনরুদ্ধার ও সৌন্দর্যবর্ধনের প্রতিশ্রুতি দেন। ইয়ুথনেট গ্লোবালের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান শুভ বলেন, “বরিশালে সামান্য বৃষ্টিতেই ফকিরবাড়ি, কালিবাড়ি ও আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে যায়।

 

এ অবস্থায় এই পুকুরটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ জলাধার। বিস্ময়ের ব্যাপার—এত বড় ক্যাম্পাসে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। ভারী বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ ছিল এই পুকুরটি। অজানা কারণে রাতের অন্ধকারে পুকুর ভরাট করা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে পুকুরটি পুনরুদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি।” পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাইফুদ্দিন বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভরাটের সত্যতা পাই। আমরা লিখিত নোটিশ পাঠিয়েছি। নির্ধারিত সময়ে পুকুর পুনরুদ্ধার না করা হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বরিশালের নগর জলাবদ্ধতা নিরসনে এ ধরনের জলাধারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবৈধভাবে জলাধার ভরাটের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য ও নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

১২ ফেব্রুয়ারি হতে পারে সংসদ নির্বাচন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৫৫ অপরাহ্ণ
১২ ফেব্রুয়ারি হতে পারে সংসদ নির্বাচন

ভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) তারিখটিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে ইসি। তবে ৮ ফেব্রুয়ারিকেও বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভোট আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটি।

এক নির্বাচন কমিশনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা তফসিল ঘোষণার তারিখ ও ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করেছি। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।

 

কবে ভোট হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটি নির্দিষ্ট তারিখ বলব না, কারণ তাতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে পড়ব। তবে ভোটের জন্য দুটি নির্দিষ্ট তারিখ বলতে পারি—একটি ৮ ফেব্রুয়ারি (রোববার), আরেকটি ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। এ দুই তারিখের একটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

তফসিল ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে। সেটি আগামী বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কিংবা বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর)।

 

তফসিল বা ভোট পিছাতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জটিল কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হলে তফসিল পেছাবে না। আর যদি কোনো কারণে তফসিল পিছিয়েও যায়, তারপরও ভোট নির্ধারিত তারিখেই অনুষ্ঠিত হবে, কারণ আমাদের হাতে এখনো অনেক সময় আছে।

 

তফসিল ঘোষণা ও ভোটের তারিখ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান  বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ভোটের কয়েকটি তারিখ আলোচনা করেছি। আগামী রোববার (৭ ডিসেম্বর) এ নিয়ে বৈঠক হবে। রোববারের সিদ্ধান্তের পর থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হবে।

 

ইসি জানিয়েছে, তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার একটি রেওয়াজ আছে। সেই রেওয়াজ ভাঙা হবে না। তবে তফসিল ও নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কমিশন। এরপর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।

সূত্র জানায়, আগামী বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ৮ কিংবা ৯ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে।

 

 

সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের সময়সূচি ঘোষণার আগে প্রতিবারই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই এবারও সেই রেওয়াজ বজায় রেখে আগামী ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।

 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ১০ ডিসেম্বর ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ৮ বা ১২ ফেব্রুয়ারি। নিয়ম অনুযায়ী ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে সাক্ষাতের পর ওই সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণা করতে পারেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। ইতোমধ্যে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের খসড়াও তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি সূত্র।

ইসি সূত্র জানায়, ঘোষণায় বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরা হবে। ভোটারের নিরাপত্তা, আচরণবিধি প্রতিপালনসহ নানা নির্দেশনা থাকবে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দল ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অপরাধ থেকে দূরে রাখতে সতর্কবার্তা দেওয়া হবে।

এর আগে জানানো হয়েছিল, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের জন্য পৃথক রঙের দুটি ব্যালট দেওয়া হবে। একই দিনে দুটি নির্বাচন হওয়ায় এবার ইসিকে বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।

 

জানা যায়, আগের ১২টি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে দ্বিতীয়, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে রোববার। অষ্টম ও নবম নির্বাচন হয়েছে সোমবার। প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম নির্বাচন হয়েছে বুধবার। আর চতুর্থ ও ষষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। সার্বিক হিসাবে ৮ বা ১২ ফেব্রুয়ারি তারিখই বেশি আলোচনায় রয়েছে।

সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু থেকেই সব প্রস্তুতি নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে সরকার থেকে গণভোটের ঘোষণা আসায় অতিরিক্ত ব্যালট পেপার, অতিরিক্ত গোপন কক্ষ, বাজেট বৃদ্ধি—এমন আরও বেশ কিছু প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আইন-বিধি সংশোধন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক নিবন্ধন, অধিকাংশ ছাপার কাজ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের সব বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠকও শেষ হয়েছে। এখন বাজেট নিয়ে আলোচনা করছে নির্বাচন কমিশন।