খুঁজুন
সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

বীর্যে বিরল অ্যালার্জি, নারীর বন্ধ্যত্ব নিয়ে চিকিৎসকদের সতর্কতা

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: শনিবার, ২৬ জুলাই, ২০২৫, ৮:২৩ অপরাহ্ণ
বীর্যে বিরল অ্যালার্জি, নারীর বন্ধ্যত্ব নিয়ে চিকিৎসকদের সতর্কতা

প্রজনন সংক্রান্ত সমস্যা নির্ণয়ে চিকিৎসকদের জন্য এক নতুন সতর্কবার্তা নিয়ে এসেছে লিথুয়ানিয়ার ২৯ বছর বয়সী এক নারীর বিরল সমস্যা। বারবার চেষ্টা করেও গর্ভধারণে ব্যর্থ হওয়া এবং ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) চিকিৎসায়ও ফল না আসায় ধন্দে পড়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। অবশেষে তাঁর বন্ধ্যত্বের কারণ হিসেবে ধরা পড়েছে মানব বীর্য প্লাজমায় অ্যালার্জি।

ঘটনার বর্ণনায় লাইভ সায়েন্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই নারী তাঁর পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে সন্তান ধারণের চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু সফল হচ্ছিলেন না। দুই দফা আইভিএফ চিকিৎসাও ব্যর্থ হয়। স্ত্রীরোগ সংক্রান্ত পরীক্ষায় বন্ধ্যত্বের কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশ্য তাঁর সঙ্গীর কোনো প্রজনন পরীক্ষা করা হয়েছিল কিনা সে তথ্য জানানো হয়নি।

তবে, ওই নারীর হাঁপানি এবং ছাঁচ, বিড়ালের লোম ও ধুলার মতো শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত অ্যালার্জির ইতিহাস ছিল। তাই তাঁর অ্যালার্জি প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করছে কিনা তা দেখতে একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে যান তিনি।

চিকিৎসা কেন্দ্রে রক্ত পরীক্ষায় দেখা যায়, ওই নারীর শরীরে ইওসিনোফিলের (এক ধরনের শ্বেত রক্তকণিকা যা অ্যালার্জির বিরুদ্ধে শরীরকে রক্ষা করে) পরিমাণ অস্বাভাবিকভাবে বেশি। ত্বকের পরীক্ষায় দেখা যায়, তাঁর পরিচিত অ্যালার্জির কারণগুলো ছাড়াও তিনি মাইট, আগাছা ও ঘাসের পরাগ এবং পোকামাকড় ও কুকুরের অ্যালার্জির প্রতি সংবেদনশীল।

রোগী বিশেষত ‘ক্যানিস ফ্যামিলিয়ারিস অ্যালার্জেন ৫’ (ক্যান এফ ৫) নামক একটি প্রোটিনের প্রতি সংবেদনশীল, এটি সাধারণত কুকুরের খুশকি ও প্রস্রাবে পাওয়া যায়। চিকিৎসকেরা তাঁদের প্রতিবেদনে লিখেছেন, ক্যান এফ ৫-এর প্রতি সংবেদনশীলতা মানব বীর্যের মধ্যে পাওয়া একই ধরনের প্রোটিনের প্রতি সংবেদনশীলতাও নির্দেশ করতে পারে।

চিকিৎসা কেন্দ্রের একজন অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করে রোগী নিশ্চিত হন, তাঁর পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে অরক্ষিত যৌন মিলনের পর নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং ঘন ঘন হাঁচির মতো সমস্যা হতো। তিনি জানান, গর্ভধারণে অক্ষমতা নিয়ে আগেও চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁরা এই লক্ষণগুলোকে উপেক্ষা করেছিলেন।

চিকিৎসকেরা তখন ওই নারীর সঙ্গীর বীর্যের নমুনা ব্যবহার করে আরও অ্যালার্জি পরীক্ষা করেন। রোগীর অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া দেখে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হন, তাঁর মানব বীর্য প্লাজমা অ্যালার্জি রয়েছে। বীর্য প্লাজমা হলো বীর্যের তরল উপাদান, যেই তরল শুক্রাণু বহন করে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, বীর্যের প্রতি সংবেদনশীলতা ‘বন্ধ্যত্বের একটি সম্ভাব্য কারণ’। কারণ এই ধরনের অ্যালার্জি প্রজনন অঙ্গগুলোতে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। তবে বীর্য প্লাজমা না থাকার পরও এই অ্যালার্জি কীভাবে ওই নারীর আইভিএফ চিকিৎসাও ব্যর্থ হয়েছে স্পষ্ট নয়।

এর চিকিৎসা পদ্ধতিও বের করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বীর্যের প্রতি সংবেদনশীলতা কমানোর রোগীর শরীরে ধীরে ধীরে ক্রমবর্ধমান ঘনত্বের তরল প্রবেশ করানো হয়। এতে অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানের প্রতি সহনশীলতা তৈরি হয়। তবে চিকিৎসকেরা প্রতিবেদনে লিখেছেন, লিথুয়ানিয়ায় এই চিকিৎসা পদ্ধতি সহজলভ্য নয়। পরিবর্তে, তাঁরা রোগীকে যৌন মিলনের আগে অ্যান্টিহিস্টামিন সেবনের পরামর্শ দেন।

চিকিৎসকেরা প্রতিবেদনে লিখেছেন, ওই দম্পতি তাঁদের পরামর্শ অনুসরণ করেছিলেন, কিন্তু এই পদ্ধতি ‘অকার্যকর’ প্রমাণিত হয়েছে। তিন বছর পরে একটি ফলো-আপে এসে ওই নারী জানান, তিনি তখনো গর্ভধারণে অক্ষম। সঙ্গীর বীর্যের সংস্পর্শে এলে এখন নতুন অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দেয়, যেমন—ভালভাতে জ্বালাপোড়া, চোখের পাতা ফুলে যাওয়া এবং চোখ থেকে পানি ঝরা অন্তর্ভুক্ত। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিকিৎসকেরা তাঁকে আর নতুন কোনো চিকিৎসা সুপারিশ করেননি।

বিশ্বজুড়ে, চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা মানব বীর্য প্লাজমা অ্যালার্জির প্রায় ৮০টি ঘটনা নথিভুক্ত করেছেন। গর্ভ ধারণের ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে এখনো অনেক কিছু জানার বাকি আছে।

বন্ধ্যত্বের কারণ প্রায়শই সুনির্দিষ্টভাবে নির্ণয় করা কঠিন। তাই, ওই নারীর চিকিৎসকেরা প্রতিবেদনে লিখেছেন, ‘এই ঘটনাটি মনে করিয়ে দেয়, অ্যালার্জির সমস্যা আপাতদৃষ্টিতে সম্পর্কহীন মনে হলেও, প্রজনন স্বাস্থ্যের জটিলতার সঙ্গে যখন এটি যুক্ত হয় তখন চিকিৎসা অনেক চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়।’ যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন-এর ওয়েবসাইটে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।

 

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর হতে পারেনি: টিআইবি পরিচালক

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:০৮ অপরাহ্ণ
দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর হতে পারেনি: টিআইবি পরিচালক

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকার কঠোর অবস্থান নিতে পারেনি বলে দাবি করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) ১৩তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে অঙ্গীকার নিয়ে ধানমন্ডির অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন এমন দাবি করেন তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গত ৫৪ বছর ও ১৫ বছরের জঞ্জাল কাটিয়ে উঠে চট করে দুর্নীতিমুক্ত দেশ করা সম্ভব নয়। এর জন্য সময় লাগবে। দেশে দুর্নীতি বেড়েছে না কমেছে, সে হিসেব টিআইবি এখনও করেনি। তবে দুর্নীতি অব্যাহত আছে।

নির্বাচনি ইশতেহার প্রসঙ্গে টিআইবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর ক্যাপিটাল পেশিশক্তি, অর্থ ও ধর্মের বিষয়ে নির্বাচনি ইশতেহারে পরিষ্কার করা উচিত।’

সরকার পরিচালনায় দুর্নীতি প্রতিরোধ, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনে দলগুলোর অবস্থান ইশতেহারে তুলে ধরা উচিত বলেও মনে করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।

জগদীশ সরস্বতী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুকুর ভরাট: পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে উদ্ধারের উদ্যোগ

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৭:০৫ অপরাহ্ণ
জগদীশ সরস্বতী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুকুর ভরাট: পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে উদ্ধারের উদ্যোগ

 বরিশাল শহরের ফকিরবাড়ি এলাকায় জগদীশ সরস্বতী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে অবস্থিত শতবর্ষী পুকুরটি রাতের আঁধারে অবৈধভাবে ভরাটের অভিযোগে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কর্পোরেশনের বর্জ্যবাহী গাড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে বালুমাটি এনে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পুকুরটি ভরাট করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

ঘটনার খবর পেয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর বরিশাল জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এবং পরিবেশবাদী তরুণ সংগঠন ইয়ুথনেট গ্লোবাল দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তাৎক্ষণিক পরিদর্শনে রাতারাতি পুকুর ভরাটের সত্যতা মিলেছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পরিবেশ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত নোটিশ প্রদান করেছে। নোটিশে তিন কার্যদিবসের মধ্যে পুকুরটি পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশ না মানলে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জলাধার ভরাট সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং অতি দ্রুত পুকুর পুনরুদ্ধার ও সৌন্দর্যবর্ধনের প্রতিশ্রুতি দেন। ইয়ুথনেট গ্লোবালের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান শুভ বলেন, “বরিশালে সামান্য বৃষ্টিতেই ফকিরবাড়ি, কালিবাড়ি ও আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে যায়।

 

এ অবস্থায় এই পুকুরটি ছিল গুরুত্বপূর্ণ জলাধার। বিস্ময়ের ব্যাপার—এত বড় ক্যাম্পাসে কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। ভারী বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র পথ ছিল এই পুকুরটি। অজানা কারণে রাতের অন্ধকারে পুকুর ভরাট করা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং অবিলম্বে পুকুরটি পুনরুদ্ধারের দাবি জানাচ্ছি।” পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাইফুদ্দিন বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভরাটের সত্যতা পাই। আমরা লিখিত নোটিশ পাঠিয়েছি। নির্ধারিত সময়ে পুকুর পুনরুদ্ধার না করা হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বরিশালের নগর জলাবদ্ধতা নিরসনে এ ধরনের জলাধারগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবৈধভাবে জলাধার ভরাটের ফলে পরিবেশের ভারসাম্য ও নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

১২ ফেব্রুয়ারি হতে পারে সংসদ নির্বাচন

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৬:৫৫ অপরাহ্ণ
১২ ফেব্রুয়ারি হতে পারে সংসদ নির্বাচন

ভোটকে সামনে রেখে সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) তারিখটিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে ইসি। তবে ৮ ফেব্রুয়ারিকেও বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভোট আয়োজনকারী সাংবিধানিক সংস্থাটি।

এক নির্বাচন কমিশনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মেইলকে বলেন, আমরা তফসিল ঘোষণার তারিখ ও ভোটের তারিখ চূড়ান্ত করেছি। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষা।

 

কবে ভোট হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একটি নির্দিষ্ট তারিখ বলব না, কারণ তাতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে পড়ব। তবে ভোটের জন্য দুটি নির্দিষ্ট তারিখ বলতে পারি—একটি ৮ ফেব্রুয়ারি (রোববার), আরেকটি ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার)। এ দুই তারিখের একটি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

তফসিল ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে। সেটি আগামী বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কিংবা বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর)।

 

তফসিল বা ভোট পিছাতে পারে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জটিল কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হলে তফসিল পেছাবে না। আর যদি কোনো কারণে তফসিল পিছিয়েও যায়, তারপরও ভোট নির্ধারিত তারিখেই অনুষ্ঠিত হবে, কারণ আমাদের হাতে এখনো অনেক সময় আছে।

 

তফসিল ঘোষণা ও ভোটের তারিখ প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমান  বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ভোটের কয়েকটি তারিখ আলোচনা করেছি। আগামী রোববার (৭ ডিসেম্বর) এ নিয়ে বৈঠক হবে। রোববারের সিদ্ধান্তের পর থেকে বৃহস্পতিবারের মধ্যে যেকোনো দিন তফসিল ঘোষণা করা হবে।

 

ইসি জানিয়েছে, তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করার একটি রেওয়াজ আছে। সেই রেওয়াজ ভাঙা হবে না। তবে তফসিল ও নির্বাচনের সার্বিক বিষয় নিয়ে আগে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কমিশন। এরপর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে।

সূত্র জানায়, আগামী বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের আগে ৮ কিংবা ৯ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে।

 

 

সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের সময়সূচি ঘোষণার আগে প্রতিবারই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাই এবারও সেই রেওয়াজ বজায় রেখে আগামী ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।

 

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ১০ ডিসেম্বর ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ৮ বা ১২ ফেব্রুয়ারি। নিয়ম অনুযায়ী ১০ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বঙ্গভবনে সাক্ষাতের পর ওই সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণা করতে পারেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। ইতোমধ্যে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের খসড়াও তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি সূত্র।

ইসি সূত্র জানায়, ঘোষণায় বাংলাদেশের ইতিহাস তুলে ধরা হবে। ভোটারের নিরাপত্তা, আচরণবিধি প্রতিপালনসহ নানা নির্দেশনা থাকবে। বিশেষ করে রাজনৈতিক দল ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অপরাধ থেকে দূরে রাখতে সতর্কবার্তা দেওয়া হবে।

এর আগে জানানো হয়েছিল, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে। ভোটারদের জন্য পৃথক রঙের দুটি ব্যালট দেওয়া হবে। একই দিনে দুটি নির্বাচন হওয়ায় এবার ইসিকে বাড়তি প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।

 

জানা যায়, আগের ১২টি সংসদ নির্বাচনের মধ্যে দ্বিতীয়, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে রোববার। অষ্টম ও নবম নির্বাচন হয়েছে সোমবার। প্রথম, তৃতীয়, পঞ্চম ও সপ্তম নির্বাচন হয়েছে বুধবার। আর চতুর্থ ও ষষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে বৃহস্পতিবার। সার্বিক হিসাবে ৮ বা ১২ ফেব্রুয়ারি তারিখই বেশি আলোচনায় রয়েছে।

সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু থেকেই সব প্রস্তুতি নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে সরকার থেকে গণভোটের ঘোষণা আসায় অতিরিক্ত ব্যালট পেপার, অতিরিক্ত গোপন কক্ষ, বাজেট বৃদ্ধি—এমন আরও বেশ কিছু প্রস্তুতি নিতে হয়েছে। ইতোমধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, আইন-বিধি সংশোধন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক নিবন্ধন, অধিকাংশ ছাপার কাজ, অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের সব বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠকও শেষ হয়েছে। এখন বাজেট নিয়ে আলোচনা করছে নির্বাচন কমিশন।